বারাসত: তালিবানরা আমাদের সঙ্গে কোনও খারাপ আচরণ করেননি। খাবার, জল, ওষুধ সবই দিয়েছিল। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করেছিল ওরা। এমনিকে আমাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলেছিল, চা-ও খেয়েছিল। ভাগ্য ভালো যে ওদের খারাপ কোনও মতলব ছিল না। আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে দেশে তালিবান সম্পর্কে এ কথা বললেন নিমতার (Nimta) বাসিন্দা তমাল ভট্টাচার্য। আফগানিস্তানে একটি আন্তর্জাতিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন তিনি। রবিবার রাতে কাবুল থেকে দেশে ফেরেন তমাল।
ছেলে বাড়ি ফেরায় তমালের পরিবারে খুশির হাওয়া। তালিবানরা আফগানিস্তান দখল করার পর আতঙ্কে ছিল গোটা পরিবার। দেশে ফিরতে পারার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ও বায়ুসেনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তমাল। তিনি বলেন, তালিবানরা আফগানিস্তানে থেকে যাওয়ার কথা বলেছিল। তালিবানরা বলেছিল, আপনারা চলে গেলে আমাদের বাচ্চাদের পড়াবে কে? আমরা চাই, দেশের শিক্ষার প্রসার ঘটুক। পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হলে আফগানিস্তানে ফিরুন। আমরা আপনাদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা দেব। তমালের মা জানিয়েছিলেন, ওকে কিছু প্রশ্ন করেছে। ভালো খাইয়েছে। তারপর ছেড়ে দিয়েছে।
রবিবার কাবুল দেশে ফিরেছেন দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা রাজেশ থাপা। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মী রাজেশ থাপা বছর পাঁচেক আগে আফগানিস্তানের গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে একটি প্রাইভেট কোম্পানির সিকিউরিটি গার্ড পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি বলেন, তালবানি সরকার গঠন করতে অস্ত্র হাতে নিয়েছে। এতে ওখানকার সাধারণ মানুষ ভয়ে রয়েছেন। বাইরের সবাই নিঞ্জের দেশে ফিরতে চাইছেন। ফলে একটা সমস্যা হচ্ছে। কিছু ভারতীয়রা এখনও ওখানে আটকে রয়েছেন। আফগানিস্থানের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে চাননি।
আরও পড়ুন: তালিবানের নজর থেকে ছাত্রীদের বাঁচাতে নথি পোড়ালেন কাবুলের একমাত্র গার্লস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা