কলকাতা: প্রাথমিকে পোস্টিং দুর্নীতিতে হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিমকোর্ট। গত ২৬ জুলাই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, নিয়োগের মতো প্রাথমিকে পোস্টিং নিয়েও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। সেই দুর্নীতিতেও প্রাক্তন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি বর্তমানে জেলবন্দি মানিক ভট্টাচার্য জড়িত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ওই দুর্নীতিরও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়ে বলেন, আজই দুই সিবিআই অফিসারকে প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে মানিককে জেরা করতে হবে। দরকার হলে সিবিআই তাঁকে নিজেদের হেফাজতেও নিতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, মানিক যাতে সুপ্রিম কোর্টে যেতে না পারেন, তার জন্যই এই তৎপরতা। আদালতের এই নির্দেশে পেয়ে সেই রাতেই দুই রাতেই প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ মানিককে জেরা করেন। পরের দিনও সকালে কয়েক ঘণ্টা ধরে জেরা চলে। আদালতের আরও নির্দেশ ছিল, সিবিআইকে মানিকের বিরুদ্ধে এফআইআর-ও করতে হবে।
আরও পড়ুন: শীঘ্রই গ্রন্থাগারে নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হবে, জানালেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী
হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই মানির সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে জানান, মানিক সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের সেক্রেটারি জেনারেল তাঁকে ফোনে একথা জানিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ওই মামলায় মানিক অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশও পয়ে গিয়েছেন। মামলার পরবর্তী শুনানি সাতদিন পর।
নিয়োগ দুর্নীতিতে গত বছরের অগাস্ট মাসে সিবিআই গ্রেফতার করে মানিক ভট্টাচার্যকে। তার কিছুদিন পর ইডির হাতে গ্রেফতার হন মানিকের স্ত্রী শতরূপা ও ছেলে সৌভিক। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁদের দুজনেরও যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি করে ইডি। কেন্দ্রীয় সংস্থার আরও দাবি, মানিকের চেলের সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতিতে বহু টাকার লেনদেন হয়েছে। একাধিকবার পরিবারের তিন সদস্যই বিদেশে গিয়েছেন। সৌভিকের বেশকয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেরও হদিশ পেয়েছে ইডি। তাতে বিভিন্ন সময়ে বড় অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে, এমনটাই অভিযোগ ইডির।