কলকাতা: রাজ্যপালের (Governor) এক তরফা উপাচার্য (Vice Chancellor) নিয়োগে এখনই হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সিদ্ধান্তে এখনই হস্তক্ষেপ করল না সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, মামলার সব পক্ষকে নোটিস দিতে হবে। দু’সপ্তাহ পরে মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে।
আদালত সূত্রের খবর, শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, এই সময়ের মধ্যে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে দু’পক্ষ আলোচনায় বসে সমাধানসূত্র বার করা যায় কি না দেখবে। তবে আংশিক সময়ের অস্থায়ী উপাচার্যদের নিয়োগ নিয়ে আচার্যের সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। আপাতত হাইকোর্টের নির্দেশই বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: ব্লকের বিকল্প উঠে গেল টুইটার থেকে
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগে আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে যায় রাজ্য। রাজ্যপাল যে প্রক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করেছেন তা বৈধ নয় বলে নবান্নের বক্তব্য ছিল। দেখা যাচ্ছে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই উপাচার্য নিয়োগে এককভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন আচার্য তথা রাজ্যপাল। শনিবারই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিযুক্ত করা হয়েছে। যা নিয়ে রাজ্য রাজভবন সংঘাত আরও বৃদ্ধি পেল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত মামলায় ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করা তার মধ্যে রয়েছে রাজ্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, উত্তরবঙ্গ, কলকাতা, বর্ধমানের মতো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। কিন্তু ওই উপাচার্যদের বেতন বন্ধ করে দেয় শিক্ষা দফতর। রাজ্যের যুক্তি, উপাচার্য নিয়োগে একতরফা ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না আচার্য। ওই উপাচার্যদের নিয়োগ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়। গত ২৮ জুন হাইকোর্ট মামলা খারিজ করে আচার্যের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দেয়। উচ্চ আদালত রাজ্যকে ওই উপাচার্যদের বেতন-সহ ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।