পূর্ব বর্ধমান: ফের কঙ্কাল কান্ডের ছায়া পূর্ব বর্ধমানে। মা’কে মেরে গত ২ বছর ধরে বাড়ির বারান্দায় পুঁতে রেখেছিল ছেলে। শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়ে অভিযুক্ত। লাসের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বর্ধমান থানার পুলিশ।ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের রায়ন এক নম্বর পঞ্চায়েতের হাটু দেওয়ান এলাকায়।
অভিযুক্তের নাম শেখ নয়ন। মৃত ওই মহিলার নাম সুকরানা বিবি। পরিবারে তার দুই ছেলে। বড় ছেলের নাম কিসমত আলী এবং ছোট ছেলের নাম শেখ নয়ন। পুলিশ সূত্রে খবর, ছোট ছেলে শেখ নয়নের সঙ্গে থাকতেন সুকরানা বিবি। মাঝেমধ্যে সুযোগ-সুবিধা বুঝেই বড় ছেলে কিসমাত এর কাছে গিয়ে থাকতেন। কিন্তু মারা যাওয়ার গত ছয় থেকে সাত মাস বড় ছেলের বাড়িতে যাননি ঐ মহিলা। যার ফলে একাধিক বার খোঁজ নেন বড় ছেলে কিসমত আলী। বারংবার ছোট ভাই শেখ নয়নকে তার মায়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে বারবারই এড়িয়ে গেছেন। আর না হলে বলেছেন, মা কখন আসে বা যায় তার কোন ঠিক থাকেনা।
বড় ছেলের থানায় দায়ের করা ২ বছর আগের মিসিং ডায়েরি
দীর্ঘদিন ধরেই এই কথাতে সন্দেহ বাড়ে বড় ছেলের। তবে সালটা ২০১৯ এর ১০ জানুয়ারি। সময় পেরিয়ে যায় কিন্তু কোনভাবেই সুকরানা বিবির খোঁজ মেলেনি। বিভিন্নভাবে সন্ধান চালিয়েও পাওয়া যায়নি মায়ের খোঁজ।
আরও পড়ুন অগ্নিমিত্রা পলের ট্যুইটার হ্যাক,অভিযোগ দায়ের লালবাজারে
এরপরই মঙ্গলবার বেলায় সন্দেহের বশেই ছোট ভাই নয়নকে চেপে ধরা হয়।তৃণমূলের কার্যালয় নিয়ে গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে খুনের অভিযোগ স্বীকার করে সে। জানায় আঘাত করে মেরে বাড়ির বারান্দায় পুঁতে দিয়েছেন তার মা’কে।বর্ধমান থানায় বিষয়টি জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রেফতার করে শেখ নয়নকে। ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে , শেখ নয়ন মানসিক ভারসাম্যহীন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ ওই বাড়ির বারান্দা খোলার ব্যবস্থা করছে।
আরও পড়ুন আবেদন করতেই রাতারাতি বৃদ্ধের হাতে এল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড
তবে ঠিক কি কারণে এই খুন তা পরিষ্কার নয় এখনও। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তারা এই ঘটনার রহস্য ভেদ করবে বলেও আশ্বাস বর্ধমান পুলিশের। মঙ্গলবার এই ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রায়ান অঞ্চল ও হাটু দেওয়ানে।