নয়াদিল্লি: কুস্তিগিরদের আন্দোলন দেশের সীমান্ত পেরিয়ে আন্তর্জাতিক স্পর্শ পেয়েছে। বিশ্ব কুস্তি সংস্থা ইতিমধ্যে ভারতীয় ফেডারশনকে সতর্ক করে কড়া বার্তা দিয়েছে। তবে এখনও নিজের বয়ানেই অনড় ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং। তাঁর দাবি, কুস্তিগিরেরা নিজেদের অভিযোগ বার বার বদলে ফেলছেন। তিনি বলেন, ১৮ জানুয়ারি প্রথমদিকে কুস্তিগিররা যখন যন্তর মন্তরে ধরনায় বসলেন, তখন তাঁদের অভিযোগ এক রকম ছিল। তবে দিন বদলালেই তাঁদের অভিযোগ বদলে যাচ্ছে।
ব্রিজভূষণ আরও বলেন, তিনি নাকি মহিলা কুস্তিগিরদের প্রশ্ন করেছিলেন যে, তিনি কবে, কোথায় এবং কীভাবে তাঁদের সঙ্গে অন্যায় করেছেন। সে বিষয়েও পরিষ্কার মত দিতে পারেননি আন্দোলনকারীরা, দাবি বিজেপি সাংসদের। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসে ব্রিজভূষণ। তিনি প্রকাশ্যে বলেন, , কুস্তিগিরদের এই আন্দোলনকে বড় রুপ দিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Primate Genetics | বাঁদর-শিম্পাঞ্জিদের সঙ্গে মানুষের আশ্চর্যজনক জিনগত মিল, জানা গেল নতুন গবেষণায়
এদিকে ৫ জুনের অযোধ্যা যাত্রা বাতিল করলেন বিজেপি সাংসদ তখা কুস্তি ফেডারশনের প্রধান ব্রিজভূষণ শরণ সিং। তিনি এক বিবৃতিতে জানান, সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে দিল্লি পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তাই এই ঘটনা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ এখনই নেব না। আপতত ‘জন চেতন মহর্যা লি’ বন্ধ রাখা সিদ্ধান্ত নিলাম।
মঙ্গলবার অলিম্পিক্স এবং বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জেতা পদক গঙ্গায় বিসর্জন দিতে হরিদ্বার এসেছিলেন সাক্ষী মালিক (Sakshi Malik), বিনেশ ফোগট (Vinesh Phogat), বজরং পুনিয়া (Bajrang Punia)। হাজির হয়েছিলেন হর কি পৌরি ঘাটে। তাঁদের আটকালেন কৃষক নেতা নরেশ টিকাইত (Naresh Tikait) এবং অন্যান্যরা। কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঁচদিনের সময়সীমা দিয়েছেন ভারতের কৃতী কুস্তিগিররা। এর মধ্যে বিজেপি সাংসদ তথা ভারতের কুস্তি ফেডারেশনের (WFI) সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংকে (Brij Bhushan Sharan Singh) গ্রেফতার এবং পদ থেকে বহিষ্কার না করা হলে তাঁরা আবার হরিদ্বারে আসবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।