কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ঘটনায় এবার ক্যান্টিনের এক কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ লালবাজারের (Lalbazar) গোয়েন্দাদের। জানা গিয়েছে, তদন্তে (Investigation) উঠে এসেছে, হস্টেলের (Hostel) অলিখিত নিয়ম ছিল, সিনিয়রদের খাবার বেড়ে দিতে হবে। বাড়িতে ফোন করতে হলে সিনিয়রদের সামনে কথা বলতে হবে। শৌচালয় পরিষ্কার করানো হত। হস্টেলের রুম গুছিয়ে রাখার দায়িত্ব নিতে হত জুনিয়রদের। প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের থেকে জিজ্ঞাসাবাদে একাধিক তথ্য মিলেছে। মৃত ছাত্রকেও এই প্রক্রিয়া দিয়ে যেতে হয়েছিল বলে পুলিশের অনুমান। ক্যান্টিনের কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, মৃত পড়ুয়ার নামে ঘটনার দিন কী কী খাবার দেওয়া হয়েছিল। কারণ জুনিয়রকে দিয়ে সিনিয়ররা খাওয়ার আনাত। জুনিয়রের নামেই সেই খাবার আসত।
এদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় দুই প্রাক্তন ছাত্র এবং এক বর্তমান পড়ুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার দুই প্রাক্তনীকে নোটিস দিয়ে ডাকা হয়েছিল যাদবপুর থানায়। যাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তাঁরা তিন জন ওই হস্টেলে থাকতেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। গত ৯ অগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এ২ ব্লকের হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে প্রথম বর্ষের ছাত্র যখন পড়ে গিয়েছিলেন, সেই সময়েও তাঁরা হস্টেলে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: যাদবপুর-কাণ্ডে মেস কমিটির বেশ কয়েকজনকে তলব
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত দুজন ধৃতকে দিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানো হয়েছে। ১৬০ নোটিসে যাদের ডাকা হয়েছিল এদের মধ্যে তিন জনের বয়ানে অসঙ্গতি। এর মধ্যে দুজন প্রাক্তন ও একজন বর্তমান পড়ুয়া। ঘটনার সময় এই তিন জনই উপস্থিত ছিল। এদের ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ডিসি নিজে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এদিকে যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় সঠিক তদন্ত, রাগিং মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠনের ছাত্র-ছাত্রীদের মিছিল। যাদবপুর থানায় আন্দোলনকারীরা ডেপুটেশন দেবেন।