কলকাতা: ২০২০ সালে কোভিড পর্বে সরকারি-বেসরকারি তিন হাসপাতাল ঘুরে মৃত্যু হয় ১৮ বছরের ছাত্র শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের। এই ঘটনায় একটি বেসরকারি নার্সিং হোমকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায় ওই বেসরকারি হাসপাতাল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য স্বাস্থ্য কমিশনের নির্দেশই বহাল রাখলেন।
২০২০ সালে কোভিড যখন একেবারে তুঙ্গে, সেই সময় তিন-তিনটি হাসপাতাল ঘুরে কার্যত বিনা চিকিৎসায় মারা যায় ওই ছাত্র। বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই জানানো হয়, শুভ্রজিতের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যেই কী করে রিপোর্ট এসে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরবর্তীকালে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও শুভ্রজিতের কোনও চিকিৎসা হয়নি। তার অসহায় বাবা-মা চিকিৎসকদের হাতে পায়ে ধরতে বাকি রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষক, পুরকর্মী নিয়োগে তদন্ত একসঙ্গে চলবে, নির্দেশ আদালতের
ওই ছাত্রের পরিবার গাফিলতির অভিযোগ এনে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। ওই সময় এই ঘটনা নিয়ে যথেষ্ট আলোড়ন পড়েছিল। কোভিড পর্বে এই রাজ্যেও অনেকের মৃত্যু হয়েছে বিনা চিকিৎসায়।
মৃত শুভ্রজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পরিবারের অভিযোগ, সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত শহরের তিনটি হাসপাতাল ঘুরেও মেলেনি বেড। কামারহাটি ইএসআই, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ আর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করেনি তাকে। চিকিৎসা না পেয়ে ওই রাতেই মৃত্যু হয় শুভ্রজিতের। তার মা শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার হুমকি দিলে মেডিক্যাল কলেজ ভর্তি নেয় শুভ্রজিৎকে।