নয়াদি্ল্লি: কোভিড-১৯ এর নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন ২০২২-এর ফেব্রুয়ারির মধ্যেই শিখর ছুঁয়ে ফেলবে (Omicron India)। তার পরের একমাসে সংক্রমণ হার (Covid 19) কমবে। এমনটাই অনুমান বিশেষজ্ঞদের। কোভিডের গতিপথ ট্র্যাক করা ‘সূত্র মডেল’-এর দুই বিজ্ঞানীর ধারণা, ফেব্রুয়ারির মধ্যে করোনার নতুন ওয়েভ ভারতে আঘাত হানবে (Omicron)।
সূত্র মডেলের প্রতিষ্ঠাতা আইআইটি কানপুরের মণীন্দ্র আগরওয়াল ও আইআইটি হায়দরাবাদের এম বিদ্যাসাগরের আশঙ্কা, ২০২২-এর ফেব্রুয়ারিতে ভারতে ওমিক্রনের দৈনিক সংক্রমণ দেড় থেকে দু’লক্ষে পৌঁছবে। ভ্যাকসিনেশন করে যদি না প্রতিহত করা যায়।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ওমিক্রন পিকে উঠতে তিন সপ্তাহ সময় লাগে। তার পরেই সংক্রমণের রেখাচিত্র নিম্নমুখী। ওমিক্রনের সেই গতিপ্রকৃতি বিশ্লেষণ করেই দুই বিশেষজ্ঞের ধারণা, ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ওমিক্রন শিখর ছুঁয়ে শক্তি হারাবে।
আরও পড়ুন: Omicron: ৫০০ মিলিয়ন নাগরিকের বাড়িতে করোনা টেস্ট কিট পাঠাবে আমেরিকার বাইডেন সরকার
ব্রিটেন, আমেরিকায় ওমিক্রনের সংক্রমণ ইতিমধ্যে উদ্বেগে ফেলেছে দুই দেশের শীর্ষ প্রশাসনকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একসপ্তাহের মধ্যে ৭০ শতাংশের ওপর সংক্রমণ বেড়েছে। এক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত মোট কোভিড সংক্রমণের ৩ শতাংশ ওমিক্রন ধরা পড়ছিল। এখন ১০০ কোভিড পজিটিভ কেসের মধ্যে গড়ে অন্তত ৭০টা ওমিক্রন। যে কারণে বাইডেন প্রশাসন বুস্টার ডোজের ওপর জোর দিচ্ছে। ওমিক্রন সামাল দিতে ব্রিটেনও টিকাকরণেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বে ওমিক্রনে মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। ব্রিটেন, আমেরিকা ও ইসরায়েলে। আক্রান্ত দেশগুলিতে ওমিক্রনের উপসর্গ মৃদু। আগের ডেল্টা বা ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের থেকে তিন গুণ বেশি সংক্রমণ ক্ষমতা থাকলেও, প্রাণহানি সে ভাবে হয়নি। কিন্তু আগামী দিনে যে ভয়ংকর হয়ে উঠবে না, সে নিশ্চিয়তা দিতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: Omicron: তেলেঙ্গানায় ফের চার আক্রান্তের হদিশ, দেশে ওমিক্রন বেড়ে
ভারতে এ পর্যন্ত ওমিক্রন আক্রান্ত ২১৩ জন। দিল্লি ও মহারাষ্ট্রেই সব থেকে বেশি ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করার পর, এ বার আর ওমিক্রনকে হালকা চোখে দেখছে না কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক থেকে ইতিমধ্যে প্রতিটি রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় সহ কোভিড বিধি মেনে চলার ওপর জোর দিতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে কন্টেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করে, সেই মতো ব্যবস্থা নিতে বলেছে কেন্দ্র। দরকার হলে নৈশ কারফিউও।
পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে কেন্দ্র যদি ফের লকডাউন ঘোষণা করে, তাতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সামনের দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ছবিটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।