কলকাতা: কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) নিয়ে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের কোনও জবাব পায়নি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এদিন নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা (Rajiv Sinha) এ কথা জানিয়ে বলেন, অনেক সময় বাহিনী পাঠাতে দেরি হয়। রাত পর্যন্ত দেখব, আগামিকাল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দুদফার চাহিদামতো ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ধাপে ধাপে আসতে শুরু করে দিয়েছে। এর মধ্যেই ২২ কোম্পানি আগেই এসে গিয়েছে। তাদের বিভিন্ন জেলায় রুট করানোও শুরু হয়ে গিয়েছে। যে ৩১৫ কোম্পানি আসার কথা তার মধ্যে সিআরপি, বিএসএফ, সিআইএসএফ, আইটিবিপি, এসএসবি, আরপিএফ নিয়ে হবে মোট ২০০ কোম্পানি। এছাড়া অন্য রাজ্য থেকে ১১৫ কোম্পানি বিশেষ বাহিনী আসবে বলে কমিশন সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন:Manipur | মণিপুরে সর্বদলীয় প্রতিনিধি পাঠানোর প্রস্তাব দিল তৃণমূল
হাইকোর্টের ভর্তসনার পরেই রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে। তার মধ্যে ৪৮৫ কোম্পানি চেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় কমিশন চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে। শনিবারও বেশ কিছু জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী রুট মার্চ করেছে।
এদিকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি এদিন কল্যাণীতে বলেন, এখনও পর্যন্ত যে বাহিনী এসেছে তাদের কোথায় কোথায় পাঠানো হচ্ছে দেখে নিয়ে দরকার হলে ফের আদালতে যাব। শুক্রবার শুভেন্দু এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার পঞ্চায়েত দফাওয়ারি করার দাবি জানিয়েছিলেন। একই দাবি করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও। তাঁদের বক্তব্য, এক লপ্তে কেন্দ্রীয় সরকার এত বাহিনী নাও দিতে পারে। তার জন্যই কয়েক দফায় ভোট করা উচিত। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টেও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছিল, দফাওয়ারি ভোট করলে পর্যাপ্ত বাহিনী পেতে অসুবিধা হবে না। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে একাধিক মামলা রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। তার মধ্যে বাহিনী সংক্রান্ত মামলাও আছে। আগামী সপ্তাহে সেই সব মামলার শুনানি হওয়ার কথা।