কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের দফা বাড়ানোর জন্য প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর আবেদন খারিজ করে দিল আদালত। সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ভোট দফাওয়ারি করার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। বুধবার প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননমের ডিভিশন বেঞ্চ সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে জানায়, এখন রাজ্য নির্বাচন পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী পাচ্ছে। কাজেই পঞ্চায়েত ভোটের দফা বৃদ্ধির আর কোনও প্রশ্ন ওঠে না।।
অধীরের আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের দাবি ছিল, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক হিংসার কারণে রাজ্যে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট করা সম্ভব নয়। একই সঙ্গে তিনি দফাওয়ারি ভোট করারও আবেদন জানান।
আরও পড়ুন: Nagaland Landslide | নাগাল্যান্ডে ধসের কবলে গাড়ি, মৃত ২
ডিভিশন বেঞ্চ এদিন বলে, ভোটার এবং ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে আদালত এর আগে একাধিক রায় দিয়েছে। তাই এই আবেদনে আর হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। তবে পরবর্তীকালে মামলাকারী মনে করলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। মঙ্গলবারই সরকারি কর্মচারীদের দুটি সংগঠন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ এবং কর্মচারী পরিষদের আবেদনের ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ প্রতি বুথে সমানুপাতে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয়। পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে এত মামলা হওয়ায় সোমবার প্রধান বিচারপতি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেছিলেন, আমরা কি সারা দিন ধরে কেবল পঞ্চায়েতের মামলা শুনব? পঞ্চায়েত ভোট বন্ধ করা এবং রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি জানিয়ে করা এক জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ ওইদিন মামলাকারীকে বলে, আপনারা জনস্বার্থে মামলা করেন না নিজেদের প্রচারের স্বার্থে মামলা করেন, বুঝি না। এরপর এ ধরনের মামলা করলে জরিমানা করারও হুমকি দেন প্রধান বিচারপতি।
এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন ভাঙড়ের বিডিও অফিস, ভাঙড় এবং কাশীপুর থানার ভিতর ও বাইরের সমস্ত ভিডিও ফুটেজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে মামলাকারীর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ওই সব ফুটেজ হস্তান্তরিত করতে হবে। এর আগে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা যে সব নির্দেশ দিয়েছেন, সেগুলি এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর করতে হবে বলেও বিচারপতির নির্দেশ।
ক্যানিংয়ে বিরোধী দলের এক নিখোঁজ সমর্থককে ২৬ জুন খুঁজে বার করার নির্দেশ দিলেও তাঁর কোনও হদিশ মিলছে না। আদামী শুনানিতে পুলিশকে সেই ঘটনারও রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ভাঙড়, ক্যানিং, মিনাখাঁ, বসিরহাটে মনোনয়নপত্র পেশ করা নিয়ে গোলমাল, বিরোধীদের পুলিশের বাধাদান ইত্যাদি নিয়ে বুধবার রাজ্য সরকার তাদের হলফনামা জমা দেয়। ১৮ জুলাই সব মামলার শুনানি একসঙ্গে হবে বলে আদালত জানিয়েছে।