কলকাতা: সুতির গোথা হাইস্কুলের মামলায় সিআইডির ষষ্ঠ রিপোর্টও খুশি করতে পারল না আদালতকে। বৃহস্পতিবার সিআইডির ডিআইজির উপস্থিতিতেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু প্রশ্ন তোলেন, নিয়োগ দুর্নীতি কেন কী করে হল, রিপোর্টে তার কোনও ব্যাখ্যা নেই। ভবিষ্যতে এই দুর্নীতি ঠেকাতে হলে কী করতে হবে, তারও কোনও উল্লেখ নেই রিপোর্টে। বিচারপতি বলেন, এই ধরনের রিপোর্টের আদৌ কোনও দরকার আছে কি না সেটাই বুঝতে পারছি না। আদালত সিআইডির উপর অগাধ আস্থা রেখেছিল। বিস্মৃত বিচারপতির প্রশ্ন, তারপরে এর রিপোর্ট? তিনি বলেন, ওই স্কুলে আর কোনও অনিমেষ তিওয়ারি আছে কি না, সেটা আমি দেখতে চাই।
প্রসঙ্গত, অনিমেষ ওই স্কুলে বেআইনি ভাবে চাকরি পান বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই মামলা হয়। ওই স্কুলেরই প্রধান শিক্ষক হলেন, অনিমেষের বাবা আশিস তিওয়ারি। তিনি প্রভাব খাটিয়ে ছেলেকে চাকরি পাইয়ে দেন বলে মামলাকারীর অভিযোগ। আদালত এদিন ফের সিআইডিকে নতুন রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। একই সঙ্গে অনিয়ম খুঁজে বের করার জন্য আদালত বিশেষ কমিটিও গড়ে দিয়েছে। তাতে থাকছেন স্কুল সার্ভিস কমিশন, মধ্য শিক্ষা পর্যদ এবং শিক্ষা দফতরের তিন সচিব। ওই কমিটিকে সমস্ত বেআইনি কাজ এবং দুর্নীতি খুঁজে বের করতে হবে বলে আদালতের নির্দেশ।
আরও পড়ুন: হস্টেলের ছাত্রদের হুমকি বর্ধমান বিশ্ববিদ্য়ালয়ের রাঁধুনিকে
১৫ দিনের মধ্যে ওই কমিটি এবং সিআইডিকে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি ১ সেপ্টেম্বর। এদিনও আদালতের তোপের মুখে পড়ে সিআইডি। এই মামলায় এর আগে একাধিকবার বিচারপতি বসু সিআইডিকে ভর্ৎসনা করেন। গতকাল তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার সিআইডির ডিআইজিকে আদালতে হাজির হতে হবে। সেইমতো এদিন আদালতে হাজিরা দেন সিআইডির ডিআইজি। এই মামলায় এফআইআর করার জন্য সিআইডি আদালতে আবেদন করে। সিআইডির আইনজীবী বলেন, আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করব।