ব্যাঙ্কক: থাইল্যান্ডে (Thailand) বিরোধীরা (Opposition) ভোটে জয়ী হল। আর্মি (Army) পরিচালিত সরকারকে (Government) প্রত্যাখ্যান করল জনগণ। থাইল্যান্ডে বিরোধীরা রবিবার নির্বাচনে (Election) জয়ী হল। এক দশকের কনজার্ভেটিভ মিলিটারি সমর্থিত শাসনকে নাকচ করলেন তাঁরা। অনেক এগিয়ে রয়েছে বিরোধী দল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি (Move Forward party)। তারপরে আছে অন্য একটি বিরোধী দল সিনাওয়াত্রার দল ফিউ থাই (Pheu Thai)। মিলিটারি সমর্থিত ইউনাইটেড থাই নেশন পার্টি (United Thai Nation party) পিছিয়ে পড়েছে। সেটি বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুথ চান ওচারের দল। তিনি ২০১৪ সালে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল। এবার জনমতে সব থেকে এগিয়েছিল ফিউ থাই দল। কিন্তু শেষ হাসি হাসল এমএফপি।
প্রাথমিক ফলে বলা হয়েছিল নিম্নকক্ষে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি ৫০০ আসনের মধ্যে ১৫১টি আসন জিতবে। তাই এই ফলাফলকে বলা হচ্ছে রাজনৈতিক ভূমিকম্প। সরকারি জোট মাত্র ১৫ শতাংশ ভোটে জিতেছে। বেশিরভাগ ভোট পড়েছে প্রয়ুথের শাসন ব্যবস্থা থেকে সরে যেতে। পরিবর্তনের পক্ষে ভোট পড়েছে। থামাসাট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিজ্ঞানী এই মত দিয়েছেন। এটা প্রমাণ করে মানুষ মুভ ফরোয়ার্ডের দাবিতে পরিবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছেন। মুভ ফরোয়ার্ড সমর্থকদের মেসেজে ভরে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া।
আরও পড়ুন: World’s Oldest Lions | Loonkiito | বিশ্বের অন্যতম বয়স্ক সিংহের মৃত্যু
এই জয়কে পরিবর্তনের বাতাস বলে তাঁরা বর্ণনা করেছেন। নতুন যুগের ভোর বলেও বর্ণনা করা হচ্ছে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক মুভ ফরোয়ার্ডের ৪২ বছরের নেতা পিটা লিমজারো এনরাট টুইট করেছেন, দেশের ৩০তম প্রধানমন্ত্রী হতে তিনি তৈরি। আমেদের একই স্বপ্ন ও আশা রয়েছে। আমাদের থাইল্যান্ডকে আরও ভালো করতে এখনই কাজ শুরু করতে হবে।
অনেকে এটা অবিশ্বাস্য বলছেন যে মুভ ফরোয়ার্ড এত আসন পেয়েছে। এই পার্টি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ব্যাপক পরিবর্তনের। থাইল্যান্ডের আমলাতন্ত্র, মিলিটারির ভূমিকা, এর অর্থনীতিকে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াতেও। মুভ ফরোয়ার্ড ধুয়ে দিয়েছে মিলিটারির সমর্থনে থাকা জোটকে। পিটংটার্ন শিনাওয়াত্রা পরিচালিত ফেউ থাই নির্বাচনে ফ্রন্টরানার ছিল। তবে শেষ হাসি হেসেছে মুভ ফরোয়ার্ড।