হুগলি: জাঙ্গিপাড়ায় (Jangipara Hooghly) পঞ্চায়েতের বোর্ড (Panchayat Board) গঠন ঘিরে ধুন্ধুমার। তৃণমূল এবং আইএসএফ সংঘর্ষে উত্তাল ফুরফুরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। উঠেছে বোমাবাজির অভিযোগ। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টিও চলে। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddiqui)। কথা কাটাকটির সময় পুলিশ নওশাদকে তুই তোকারি করে বলে অভিযোগ। তাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মীদের দফায় দফায় খণ্ডযুদ্ধ চলে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ফুরফুরা পঞ্চায়েতে ২৯টি আসন রয়েছে। ২৯টির মধ্যে ২৪টিই পেয়েছে তৃণমূল। বাম-আইএসএফ মিলিতভাবে পেয়েছে পাঁচটি আসন। বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টা পর্যন্ত ফুরফুরা পঞ্চায়েতে দফতরে তালা মারা ছিল। তৃণমূলের অভিযোগ, পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝুলিয়েছে আইএসএফ এবং সিপিএম। বিরোধীদের দাবি, এই পঞ্চায়েত নিয়ে আদালতে মামলা চলছে তাই এদিন বোর্ড গঠন হবে না। এরপরই দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল গোলমাল শুরু। মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ এলে তাদের সঙ্গেও আইএসএফ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন:বিরোধী জোটের প্রধান উপ প্রধান হয়েই তৃণমূলে যোগ
আইএসএফের অভিযোগ, পুলিশ বিনা প্ররোচনীয় লাঠি এবং কাঁদানে গ্যাস চালিয়েছে। পুলিশের পাল্টা দাবি, বিরোধী সমর্থকরা বোমাবাজি করে। তাদের ল্ক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। পরে পুলিশ পঞ্চায়েত দফতরের তালা খুলে দেয়। আশপাশে এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ বেশ কয়েকটি বোমা উদ্ধার করে। আইএসএফের অভিযোগ পুলিশ নওশাদ সিদ্দিকির বাড়ি লক্ষ্য করে পুলিশের ইট ছোড়ে। তারপরই গোলমাল ছড়িয়ে পড়়ে। নওশাদের অভিযোগ, শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করে তুলছে পুলিশ। নওশাদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোদ এনে পুলিশের দাবি, বিধায়ক অভব্য আচরণ করেন। যদিও নওশাদ সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।