ইসলামাবাদ: ইমরানের গ্রেফতারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থেকেই বিক্ষোভের আগুনে জ্বলছে পাকিস্তান (Pakistan)। রাস্তাঘাটে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (Tehreek-e-Insaf) কর্মী-সমর্থকরা। ইসলামাবাদ লাহোর থেকে শুরু করে কোয়েটা বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভে নেমেছে পিটিআইয়ের সমর্থকেরা। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের কোয়েটা শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে মিলিটারির সংঘর্ষে এক পিটিআই সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখতে হয়েছে, বন্ধ করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াও৷ ধৃত পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan) বুধবার আদালতে পেশ করা হবে৷
পিটিআইয়ের সমর্থকরা রাওয়ালপিন্ডির সেনা প্রধান দফতর ও লাহোরের কম্যান্ডারের অফিসে ভাঙচুর চালিয়েছে৷ সমর্থকেরা রাস্তা গাড়ি জ্বালিয়ে, সরকারি অফিস ভাঙচুর করে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। পরিস্থিতি রীতিমতো অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। ইসলামাবাদ (Islamabad) জুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে লাহোর, করাচি, পেশোয়ার, রাওয়ালপিন্ডি, কোয়েটা, পঞ্জাব প্রদেশ পর্যন্ত। বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। পরিস্থিতি সামলাতে পরে সেনাও নামানো হয়।
পাক প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি সামলাতে পাকিস্তানের বিভিন্ন অংশে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ গোটা দেশের মোবাইল ব্রডব্যান্ড পরিষেবা আপাতত বন্ধ রাখা হবে৷ ট্যুইটারে এই কথা জানিয়েছে নেটব্লকস নামে একটি সংগঠন৷ পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ পাকিস্তানে বন্ধ করা হয়েছে ফেসবুক, ট্যুইটার ও ইউটিউব৷
জানা যাচ্ছে, পিটিআই নেতার বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে মোট ১২১টি মামলা রুজু হয়েছে। বিশ্বাসঘাতকতা ও ধর্মের অবমাননা থেকে হিংসা ও সন্ত্রাসে উসকানি দেওয়ার মতো নানা অভিযোগে বিদ্ধ ইমরান। উল্লেখ , পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মঙ্গলবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। পাক আধা সামরিক বাহিনী ও পুলিশের বিশাল বাহিনী গিয়ে গ্রেফতার করে পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফের নেতা ইমরানকে।