কোচবিহার: ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত প্রায় ১২টা। শ্রাবণ মাসের তৃতীয় সোমবার। অনেকেই আছেন, যাঁরা শিবের মাথায় জল ঢালতে যান। এদিন তাঁরাও কোচবিহারের শীতলকুচি থেকে জল্পেশের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। তবে এমন বিপত্তির সম্মুখীন হবেন, তা কেউ ভাবতে পারেনি। পিকআপ ভ্যানেই চলছিল ডিজে। ছিল জেনারেটরের ব্যবস্থা। গাড়িতে ছিল ২৭ জন পূর্ণ্যার্থী। জানা গিয়েছে, কোনও কারণে গাড়িতে থাকা জেনারেটর শর্ট সার্কিট হয়। ডিজের মালিক সহ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ১৬ জন। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। আহতদের জলপাইগুড়ি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘেটেছে মেখলিগঞ্জ থানার চ্যাংরাবান্ধা সংলগ্ন ধরলা সেতুতে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আহতদের দেখতে প্রথমে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসবেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তারপর তিনি যাবেন মাথাভাঙা হয়ে শীতলকুচি। মৃতদের নাম শুভঙ্কর বর্মন, স্বপন বর্মন, বাদল বর্মন, বিশাল তির্কি, বিভাস বর্মন, বিক্রম বৈস, বাপি বর্মন, লাক্সমন বর্মন,মানব বর্মন ও সুশান্ত বর্মন।
আরও পড়ুন: Sanjay Raut: টানা ৬ ঘন্টা জেরার পর গভীর রাতে ইডির হাতে গ্রেফতার সঞ্জয় রাউত
সেই অভিজ্ঞতার কথাই জানালেন আহতদের মধ্যে একজন। আহত আকাশ চন্দ্র মণ্ডল জানান, জল্পেশ মন্দিরে শিবের মাথায় জল ঢালার জন্য শীতলকুচি থেকে একটি পিকআপ ভ্যান ভাড়া করা হয়। মোট ২৭ জনকে নিয়ে রওনা হয় ওই ভ্যানটি। গাড়ির পিছনে ডিজে চলছিল। তার জন্য একটি জেনারেটরেরও ব্যবস্থা করা হয়। সেই জেনারেটরের কোনও একটি তার ছেঁড়া ছিল। সেখান থেকেই হঠাৎই পুরো পিকআপ ভ্যানটি শর্ট সার্কিট হয়ে যায়। নিমেষেই সব শেষ। গুরুতর আহত হন ১৬ জন। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে চ্যাংড়াবান্ধা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা ১০ জনকে মৃত ঘোষণা করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতদের জলপাইগুড়ি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ভয়াবহ এই দুর্ঘটনায় স্তম্ভিত তাঁরা।