নয়াদিল্লি: সিবিআইয়ের (CBI) তলবে সাড়া দিলেন না বিহারের (Bihar) উপমুখ্যমন্ত্রী (Dputy CM) তেজস্বী যাদব (Tejashwi Yadav)। আজ সিবিআই দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য হাজিরা দিতে পারেননি তেজস্বী, এমনটাই খবর। আরজেডি (RJD) নেতার স্ত্রীকে টানা ১২ ঘণ্টা জেরা করেছিল আর এক তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। সেই জেরাতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ তেজস্বীর। স্ত্রীর অসুস্থতার কারণ দেখিয়েই তিনি আজ হাজিরা দেননি বলে খবর।
এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি তেজস্বীকে তলব করেছিল সিবিআই (CBI)। সে সময়েও হাজিরা এড়িয়েছিলেন তিনি। শুক্রবার দিল্লির (Delhi) নিউ ফ্রেন্ডস কলোনিতে তেজস্বীর বাসভবনে সকাল ৮.৩০ মিনিটে হাজির হয়েছিলেন আধিকারিকরা। একই মামলায় সমাজবাদী পার্টির (Samajwadi Party) নেতা জিতেন্দ্র সিংয়ের (Jitendra Singh) গাজিয়াবাদের (Gajiabad) বাড়িতেও হানা দেওয়া হয়েছিল গতকাল। জিতেন্দ্র সিং হলেন লালুপ্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav) কন্যা রাগিনীর স্বামী। এর আগে গত মঙ্গলবার আরজেডি সুপ্রিমো তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদকে দু’ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তারও আগে জেরা করা হয়েছিল লালুর স্ত্রী রাবড়ি দেবীকে (Rabri Devi)।
আরও পড়ুন: Anil Ambani | করফাঁকি শো-কজ নোটিস নিয়ে বম্বে হাইকোর্টের রায়ে সাময়িক স্বস্তি আম্বানির
লালুপ্রসাদ, রাবড়ি, তাঁদের মেয়ে মিসা ভারতী (Misa Bharti) এবং আরও ১৩ জনের বিরুদ্ধে চাকরির বিনিময়ে জমি নেওয়ার অভিযোগে গত বছরের অক্টোবর মাসে চার্জশিট (Chargesheet) দিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে দাবি করা হয়, জমির বিনিময়ে একাধিক ব্যক্তিকে রেলে চাকরি দিয়েছিলেন অভিযুক্তেরা। সেই জমি নিজেদের এবং আত্মীয়স্বজনের নামে লেখা রয়েছে।
সিবিআইয়ের অভিযোগ, ওই জমি বাজারদরের থেকে অনেক কম মূল্যে কেনা হয়েছিল। এমনকী চাকরির ক্ষেত্রে ভুয়ো টিসি (TC) এবং প্রত্যয়িত নথিপথ দেওয়া হয়েছিল রেল মন্ত্রককে (Railway Ministry)। ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত লালুপ্রসাদ যাদবের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এই মামলায় নাম জড়িয়েছে তৎকালীন রেলওয়ে জেনারেল ম্যানেজারেরও।
সিবিআই-এর মতে, তদন্তে জানা গেছে, প্রার্থীদের কোনও বিকল্পের প্রয়োজন ছাড়াই তাদের নিযুক্তির জন্য বিবেচনা করা হয়েছিল। নিয়োগের জন্য কোনও জরুরি প্রয়োজন ছিল না, যা বিকল্পের নিযুক্তির অন্যতম প্রধান মানদণ্ড ছিল। এমনকী চাকরিতে নিয়োগের অনেক পরে কাযে যোগ দিয়েছিল তারা। যোগ দেওয়ার পরে নিয়মিত ভিত্তিতে কাজ করেছিল তারা।