মুম্বই: তাঁর ব্যক্তিজীবন নিয়ে কৌতূহল অনেক। কেন আজীবন একা থেকেছেন? শোনা যায়, লতা মঙ্গেশকর একসময় কাউকে ভালবেসেছিলেন। সেই ভালবাসা পূর্ণতা পাইনি। শোনা যায়, সেই পুরুষটির নাম রাজ সিং দুঙ্গারপুর। ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার প্রাক্তন সভাপতি। যাঁকে অনেকে মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকরের আবিষ্কারক বলেন। অনেকে বলে থাকেন, এই রাজ সিংয়ের হাত ধরেই সচিত-লতার পরিচয়। দিন যত এগিয়েছে, এই সম্পর্ক ততই মজবুত হয়েছে।
রাজ সিং তখন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি। জেদ ধরেছিলেন ১৬ বছরের ছেলেটাকে দলে নিতে হবে। সেই থেকেই লতা-সচিনের অল্প অল্প পরিচয়। আস্তে আস্তে সচিনের ব্যাটিং তীক্ষ্ণতা যতই বেড়েছে, ক্ষুরধার হয়েছে লতা-সচিনের সম্পর্ক। দুনিয়া কাঁপানো ইমরান খান, ওয়াকার ইউনুস, ওয়াসিম আক্রমদের সামনে লড়াইয়ের জন্য পাকিস্তানে পাঠানোর।
সচিনও বারবার লতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। মায়ের মতো শ্রদ্ধা করতেন তাঁকে। সুর সম্রাজ্ঞীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক বারবার সামনে এসেছে। ২০১৪ সালে সচিন তেন্ডুলকর ভারতরত্ন পাওয়ার আগে পর্যন্ত লতাকে এ প্রসঙ্গে মুখ খুলতে শোনা গিয়েছে বারবার। সচিম সম্বন্ধে বলতে গিয়ে লতা একবার বলেছিলেন, ‘সচিন আমাকে মায়ের মতো দেখে। আমি ওকে একজন মায়ের মতই স্নেহ করি। আমি সেই দিনটা ভুলতে পারব না, যেদিন ও আমাকে প্রথমবার ‘মা’ বলে ডেকেছিল। আমি এটা আশা করিনি। আমার চোখে জল এসে গিয়েছিল। সচিনের মতো একজনকে ছেলে হিসেবে পাওয়া আমার কাছে গর্বের বিষয়।’
আরও পড়ুন: Team India pay respect to Lata Mangeshkar: লতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে কালো ব্যাচ পরে মাঠে রোহিতরা
লতা মঙ্গেশকরের বাবা দীননাথ মঙ্গেশকর এবং সচিন তেন্ডুলকরের জন্মদিন একই দিনে। ২৪ এপ্রিল। লতাকে বারবার একথা বলতেও শোনা গিয়েছে। ২০১৭ সালে সচিন তেন্ডুলকরের বায়োপিক ‘সচিন; অ্যা ব্রিলিয়ান্ট ড্রিমস’ প্রকাশের দিন সামাজিক মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায় সুর সম্রাজ্ঞীকে। ক্রিকেট আর সচিন তেন্ডুলকরই শুধু নন, ব্যক্তি সচিনের পরিবারের অত্যন্ত কাছের ছিলেন লতা। ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ লতা পরবর্তীতে অনেক ক্রিকেটারের শ্রদ্ধা পেয়েছেন। ২০১৩ সালে সচিন যেদিন ক্রিকেট মাঠকে বিদায় জানালেন, সেদিন তিনি মাঠে উপস্থিত ছিলেন। আবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মুম্বইয়ে বিরাট কোহলি ২৩৫ রান করার পর একটি গান উৎসর্গ করতে দেখা যায় লতাকে।