Placeholder canvas
কলকাতা মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ |
K:T:V Clock
Aajke | চাকরি ফেরত পেলেন শিক্ষকরা
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক Published By:  কৃশানু ঘোষ
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৯ মে, ২০২৩, ১০:৩০:০০ পিএম
  • / ১৭১ বার খবরটি পড়া হয়েছে
  • কৃশানু ঘোষ

ক’দিন আগেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি থাকার জন্য বিচারকের কলমের এক খোঁচায় চলে গিয়েছিল ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি। যে বাজারে একটা সাধারণ চাকরির জন্য অনায়াসে এক লক্ষ বেকারের অ্যাপ্লিকেশন জমা পড়ে, সেই বাজারেই ৩২ হাজার মানুষের চাকরি চলে গেল। মহামান্য বিচারপতির রায় নিয়ে তো প্রশ্নও তোলা যায় না, প্রশ্ন করাও যায় না। কত শত মোটা মোটা আইনের বই পড়েই তেনারা রায় দান করেন। আমরা বরং সেই রায়দানের পরের অবস্থার কথা বলি। ৩২ হাজার মানুষ মানে ৩২ হাজার পরিবার, পরিবার পিছু ৫ জন ধরলে ১ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষের ভাত-ডাল, কাপড়, মাথার উপর ছাদের জোগানের দায়। যেদিন এই ঘোষণা হল, সেদিন তাঁদের মাথার ওপর আক্ষরিক অর্থেই বাজ ভেঙে পড়েছিল। তাঁদের বেশিরভাগ গত ৬-৭-৮ বছর ধরে চাকরি করছেন। বিচারপতির তো চাকরি দেওয়ার দায় নেই, কিন্তু চাকরি কেড়ে নেবার অধিকার? আছে বইকী। কিন্তু সেই অধিকার প্রয়োগ কি কেবল আইনের মোটা বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ? আইন কি কেবল কিছু ধারা আর তার বিশ্লেষণ? 

জেরোম কে জেরোমের ‘থ্রি মেন ইন আ বোট’ উপন্যাসের এক অংশে লন্ডনে গাঢ় শীতের রাতে এক ডাবল ডেকারে আর কেউ নেই, উঠেছেন দুই মহিলা, তাঁদের সঙ্গের এক কুকুরছানা আর সেই বাসের কন্ডাক্টরের গল্প বলেছেন লেখক নিজেই, যিনি নিজেই সেদিন বাসে ছিলেন। কুকুরছানাটিকে নিয়ে দুই মহিলা ডাবল ডেকারের নীচের আসনেই বসেন, কারণ উপরে তো ঠান্ডায় জমে যাবেন। কিন্তু বাস কন্ডাক্টার জানায়, তাদের উপরেই যেতে হবে কারণ কুকুরছানা নিয়ে ডাবল ডেকারের নীচেরতলায় বসা যায় না। মহিলারা বাধ্য হয়ে ছানাটিকে নিয়ে ডাবল ডেকারের উপরতলায় যান কিন্তু কিছুক্ষণ পরে আবার নীচে নেমে আসেন, কারণ উপরে অসম্ভব ঠান্ডা, নীচে তো আর কেউ নেই, তাই নেমে এলাম, এটাই ছিল যুক্তি। কন্ডাক্টর আসে, আবার তর্কাতর্কি, আবার ওনারা ওপরে যান, আবার থাকতে না পেরে নীচে নেমে আসেন, আবার কন্ডাক্টর। এরকম বেশ কয়েকবার ওঠানামার পরে মহিলারা ওই ঠান্ডার রাতে বাস থেকে নেমে যান। এরপরে লেখক যা নিয়ে আলোচনা করেছেন, তা হল, আইন মানুষের জন্য নাকি মানুষ আইনের জন্য? আজও সে প্রশ্নের সমাধান হয়নি। কিন্তু আপাতত স্বস্তি, ওই রায়ের উপর বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। আজ সেটাই বিষয় আজকে, চাকরি ফেরত পেলেন শিক্ষকেরা।

আরও পড়ুন: Aajke | উঠে গেল নিষেধাজ্ঞা  

জাস্টিস গাঙ্গুলি তো আপাতত বাঙালির ঘরে এক পরিচিত নাম, এবার পুজোয় আমার চেনাজানা কর্মকর্তাদের অনেকেই পুজো প্যান্ডেল উদ্বোধনের জন্য জাস্টিস গাঙ্গুলিকে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছেন। তো সেই তিনি জানিয়েছিলেন, ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি আর নেই, তাঁরা পার্শ্ব-শিক্ষকের অর্ধেক মাইনে পাবেন, নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করা হবে, যারা ছাঁটাই হলেন তাঁরা আবার সেই পরীক্ষায় বসতে পারবেন। কিন্তু সেই রায় পড়ে বোঝা যায়নি যে যারা ইতিমধ্যেই ওই চাকরির বয়সের ঊর্ধ্বসীমা পার করে ফেলেছে, তাদের কী হবে? ৬-৭-৮ বছর যাঁরা চাকরি করেছেন, তাঁদের অধিকাংশই তো ওই চাকরির বয়সের ঊর্ধ্বসীমা পার করে ফেলেছেন, তাঁরা কী করবেন। চাকরি প্রার্থী বা তাঁদের প্রতি সহানুভূতিশীল অনেকেই বললেন, ভাত দেওয়ার মুরোদ নেই কিল মারার গোঁসাই। কিন্তু সেসব তো রাগের কথা আর সেই কথাতে আমাদের সায় নেই হুজুর, আমরা কেবল খোঁজ নিয়েছিলাম আজ যে স্থগিতাদেশ আসল, সেখানে এই চাকরিপ্রার্থীদের হয়ে উকিল ঠিক কী সওয়াল করেছিলেন? তো যা জানা গেল সেটাই বলি। প্রথম কথা যা বলা হয়েছিল যে, হুজুর মাইবাপ, এই বাজারে ৩২ হাজার মানুষের চাকরি খারিজ করা মৃত্যুদণ্ডের চেয়ে তো কম কিছু নয়, তো মৃত্যুদণ্ডের আসামিকেও তো আত্মপক্ষ সমর্থন করার অধিকার দেওয়া হয়, এই ৩২ হাজার শিক্ষকের কি সেটুকু অধিকারও প্রাপ্য নয়। সওয়ালে বলা হয়েছে হুজুর মাইবাপ, মানুষ তো ভাত নয় যে একটা ভাত চিপেই পুরো হাঁড়ির গল্প বোঝা যাবে? তো হুজুর শুনেছেন এবং ওই ছাঁটাইয়ের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। আজ নিশ্চিত এই জাজ সাহেবের নামে হরির লুট দেবেন এই ছাঁটাই হওয়া শিক্ষকেরা। সে যাই হোক, একটা প্রশ্ন তো তাহলে থেকেই যাচ্ছে, শিক্ষকদের চাকরি কেড়ে নেওয়ার আগে তাঁদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়াটা কি জরুরি ছিল না? চলুন দেখি মানুষজন কী বলেন।

এসব রায়, চাকরি, দুর্নীতি ইত্যাদি বিষয় বাদই দিলাম। আমাদের মনে হয়, আপনাদেরও কি মনে হয় না যে চারিদিকে এক রাজনীতি চলছে, ক্ষমতার রাজনীতি, কামিয়ে নেওয়ার রাজনীতি, যা ইচ্ছে করার রাজনীতি? আর সেই নোংরা ক্ষমতার ইচ্ছের আড়ালে কিছু মানুষ স্রেফ বোড়ে হয়ে যাচ্ছে, জানতেই পারছে না তার দোষ কী? ঘ্যাচাং করে গলা কাটা পড়ছে। আমজনতা, কমন পিপলকে সামনে রেখে কী কদর্য রাজনীতিই না চলছে। এমনটা এর আগে দেখাই যায়নি, যে যার মতো খেলে নিচ্ছে, যে যার মতো গুছিয়ে নিচ্ছে, মধ্যিখান থেকে কিছু মানুষ হঠাৎই বুঝতেও পারছেন না, তাঁদের মাথা কাটা গেল কেন? জুড়েই বা দিল কে? আবার কাটা যাবে না তারই বা গ্যারান্টি কী। সেই কবে কবি বলেছেন, মানুষ বড় অসহায়, মানুষের হাত ধরো। প্রশ্ন, সে হাতটা ধরবে কে?

পুরনো খবরের আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০ ১১
১২ ১৩১৪ ১৫ ১৬ ১৭ ১৮
১৯ ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫
২৬ ২৭ ২৮ ২৯ ৩০ ৩১  
আর্কাইভ

এই মুহূর্তে

চিরতরে বন্ধ হচ্ছে জনপ্রিয় মিউজিক চ্যানেল! কিন্তু কেন?
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
মিরিকের পর সুখিয়াপোখরিতে মমতা, ত্রাণশিবির ঘুরে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
মমতার ‘আমাদের পাড়া’ প্রকল্পে বিরাট সাফল্য, বন্যাদুর্গত এলাকায় বাড়ল সময়
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
চেন্নাইয়ে খুলে গেল গ্লোবাল হাব! হবে ১৩ হাজার নতুন কর্মসংস্থান?
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ প্যানেলে ‘বাদ প্রধান বিচারপতি’ মামলা সুপ্রিম কোর্টে
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
মুম্বইগামী দুটি এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর, ভাঙল কাচ, যাত্রীর চোখে আঘাত
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
হুমকি-সংঘর্ষ-খতম, আফগানিস্তানকে ভয় পাচ্ছে পাকিস্তান?
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
ভারতে চালু হল রিয়েল টাইম বৈদেশিক মুদ্রা সেটলমেন্ট ব্যবস্থা
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই বহুলা অষ্টমীকে কেন্দ্র করে শান্তিপুর ও নবদ্বীপে ঘাটে ঘাটে চলছে পূণ্যস্নান
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
ব্রিটেনের সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি! কতটা দৃঢ় হল ভারতের অবস্থান?
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
নির্দেশ ছাড়া কুর্মিদের গ্রেফতার নয়, জানাল কলকাতা হাইকোর্ট  
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
নিরাপত্তা বাড়ল শুভেন্দু অধিকারীর, কারণ কী?
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
দুর্গাপুরকাণ্ডে ধৃতদের দিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করাল পুলিশ
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
ভোটের আগে ‘গীতা’র আশ্রয়ে বঙ্গ BJP! ব্রিগেডে কী প্ল্যান RSS-এর?
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
ট্রাম্পের ১০০ শতাংশ শুল্ক, কতটা পাত্তা দেবে চীন? দেখুন স্পেশাল রিপোর্ট
মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৫
© R.P. Techvision India Pvt Ltd, All rights reserved.
Developed By KolkataTV Team