তারাপীঠ: আজ, শুক্রবার কৌশিকী অমাবস্যা। এই তিথিতেই তারাপীঠে সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন সাধক বামদেব। সকাল থেকেই তারাপীঠে ভক্তদের সমাগম। সকালে মঙ্গলারতি দিয়ে পুজো শুরু হয়। এরপর দিনভর চলবে বিশেষ পুজোপাঠ। ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য কয়েকদিন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে মন্দির কমিটি ও জেলা প্রশাসন। ভক্তদের জন্য শুক্র ও শনিবার পরপর দুই দিন সারারাত মন্দির খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
কৌশিকী অমাবস্যায় ২ বছর পর তারাপীঠ মন্দিরে ভক্তদের সমাগম। করোনা কাঁটা কাটিয়ে পুজো দিতে অগণিত ভক্ত জড়ো হয়েছেন তারাপীঠে। কৌশিকী অমাবস্যায় তারামায়ের বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হয়। রাতে মন্দির চত্বরেই মহাযজ্ঞ ও নিশিপুজোর আয়োজন করা হয়েছে। তারাপীঠ মহাশ্মশানেও হোম-যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। পুজো দিতে দূর-দূরান্ত থেকে এসেছেন অগণিত ভক্ত। মহাশ্মশানে এসে জড়ো হচ্ছেন সাধুসন্ত, তন্ত্রসাধকরা। কোভিডকালে পরপর দুই বছর কৌশিকী অমাবস্যায় পুণ্যার্থীদের জন্য বন্ধ ছিল তারাপীঠ মন্দির। তাই এই বছর কয়েক লক্ষ ভক্ত সমাগম হবে বলে মন্দির কমিটির আশা।
আরও পড়ুন: কেমন কাটবে সারাদিন, জেনে নিন আজকের রাশিফল
কথিত আছে, কৌশিকী আমাবস্যায় সিদ্ধিলাভ করে মা তারার দর্শন পান সাধক বামদেব। তারাপীঠ শ্মশানের শ্বেত শিমূলতলায় সাধনা করেছিলেন তিনি। সেই থেকে পালিত হয় কৌশিকী আমাবস্যা। এদিন তারা মাকে রাজবেশে সাজিয়ে পুজো করা হয়। ভোরে মা তারার শিলামূর্তি স্নান করিয়ে মঙ্গলারতি হয়। শিলামূর্তিকে স্নান করানোর পর পরানো হয় রাজবেশ। ফুলের সাজে সাজানো হয় মা তারাকে। আচার মেনে দুপুরে তারামাকে দেওয়া হবে মধ্যাহ্নভোগ। ভোগে থাকে শোল মাছ পোড়া, সাত রকমের ভাজা, মাছ, ভাত, পোলাও। মঙ্গলারতির পর ফল, মিষ্টি, ক্ষীর দিয়ে দেওয়া হয় শীতল ভোগ। রাতে মন্দির চত্বরেই মহাযজ্ঞ ও নিশিপুজোর আয়োজন করা হয়। শুধুমাত্র মন্দিরের সেবায়েতরা এই মহাযজ্ঞে অংশ নেন।
ভক্তদের ভিড় সামালাতে মন্দির কমিটির তরফে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা। মন্দির চত্বর বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। মন্দিরে চত্বর আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। বড় পর্দার মাধ্যমে ভক্তদের আরতি দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফেও শতাধিক সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিশ। ওয়াচ টাওয়ার থেকে চলছে পর্যবেক্ষণ।