কাবুল: পঞ্জশির এলাকায় এবার তুমুল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে৷ শয়ে শয়ে তালিবান যোদ্ধা রওনা দিয়েছে হিন্দুকুশ পর্বতমালার দিকে৷ এই দুর্গম পর্বতমালার মাঝেই রয়েছে পঞ্জশির৷ গোটা আফগানিস্তান দখলে এলেও তালিবানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে এই এলাকা৷ এমনকী নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে যখন আফগানিস্তানে তালিবানদের রাজত্ব ছিল তখনও ‘স্বতন্ত্র’ ছিল পঞ্জশির৷
১৫ অগস্ট কাবুলের পতনের পর তালিবান চেষ্টা করে পঞ্জশিরেও আধিপত্য কায়েম করার৷ কিন্তু বশ্যতা স্বীকার করেননি পঞ্জশিরের যোদ্ধারা৷ তালিব জঙ্গিদের খেদিয়ে দেয় তারা৷ তারই বদলা নিতে এবার কোমর বেঁধে নামল তালিবান৷ পঞ্জশির দখলে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তারা৷ অত্যাধুনিক অস্ত্র-সমেত শয়ে শয়ে তালিবান জঙ্গিদের পঞ্জশির দখলে পাঠিয়েছে তারা৷
শত্রুকে স্বাগত জানাতে তৈরি প্রতিরোধী বাহিনীও৷ দেশের তদারকি প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ জানিয়েছেন, তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা প্রস্তুত৷ সোমবার সকালে টুইটে তিনি বলেন, ‘এর আগের দিন আন্দারাব উপত্যকায় প্রতিরোধের মুখে পরে পিছু হঠেছিল তালিবান৷ তার পর পঞ্জশিরে ঢোকার মুখে দাঁড়িয়ে তালিবানের বিরাট সংখ্যক যোদ্ধা জড়ো হয়েছে৷’
https://twitter.com/MuslimShirzad/status/1429681105842720774?s=08
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ভারতের প্রভাব বজায় রাখতে সর্বদল বৈঠকের দাবি অধীরের
প্রতিরোধ বাহিনীকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ‘পঞ্জশিরের সিংহ’ বলে খ্যাত প্রয়াত আহমেদ শাহ মাসুদের ছেলে আহমেদ মাসুদ৷ সালেহ এবং মাসুদ দু’জনেই ‘কসম’ খেয়েছেন তালিবানকে এখানে ঢুকতে দেওয়া যাবে না৷ তালিবানকে আটকাতে তৈরি তাদের ৬ হাজার যোদ্ধা৷ আফগান সেনা, স্পেশাল ফোর্স এবং স্থানীয় জনজাতির মানুষদের নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রতিরোধ বাহিনী৷ এর আগের দিন মাসুদ জানিয়েছিলেন, রক্তগঙ্গা বয়ে যাবে৷ কিন্তু তালিবানের কাছে মাথা নত করবে না তারা৷