দিনহাটা: দিনহাটার (Dinhata) ঘটনায় অ্যাকশন নেওয়া হবে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির মালবাজারে নির্বাচনী সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আজ সকালেও কোচবিহারের সীমান্ত এলাকায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের সুরে সুর মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে বাংলাদেশ থেকে আনা দুষ্কৃতীরা। সোমবারের পর এদিনও মুখ্যমন্ত্রী সভামঞ্চ থেকে বিএসএফের সমালোচনায় সরব হন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিসএফ’কে নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করতে হবে। আমি বলছি না, সব বিএসএফই খারাপ। দিনহাটার গীতালদহে এদিন সকালে তৃণমূল ও বিজেপির সংঘর্ষে এক তৃণমুল কর্মীর মৃত্যু হয় গুলিতে। জখম হন আরও পাঁচ জন। সেই ঘটনার উল্লেখ করে মমতা বলেন, সীমান্তের ওপার থেকে এসে দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। বিএসএফ কী করছিল? গতকাল দিনহাটার সমাবেশ থেকেও মুখ্যমন্ত্রী বিএসএফের তীব্র সমালচনা করে বলেছিলেন, সীমান্তে বিএসএফ ভয় দেখাচ্ছে। আপনারা কেউ ভয় পাবেন না। এই বিএসএফই ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে দিনহাটার শীতলকুচিতে গুলি চালিয়ে চার’জন রাজবংশীকে খুন করেছিল।
দিনহাটার এদিনের ঘটনা নিয়ে উত্তরবঙ্গ উন্নইয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককে কাঠগড়ায় দাঁড় করান। তিনি বলেন, আফ্রিকা থেকে ফিরে এসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গুন্ডামি শুরু করেছেন। গতকাল মুখ্যমন্ত্রীও নীশিথকে গুন্ডা বলে বর্ণনা করেন। বিজেপি অবশ্য এই ঘটনার পিছনে তাদের কোনও হাত নেই বলে দাবি করেছে। দলের রাজ্য নেতা রাহুল সিনহা বলেন, পঞ্চায়েতের টিকিট নিয়ে তৃণমুলের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণেই এই ঘটনা। বিজেপির দিনহাটা মণ্ডল সভাপতির দাবি, নিহত তৃণমুল কর্মী বাংলাদেশের বাসিন্দা।