নয়াদিল্লি: লখিমপুরের হিংসার ঘটনায় পুলিশ এতদিনে মাত্র ৪ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করেছে৷ অথচ সাক্ষীর তালিকায় নাম রয়েছে ৪৪ জনের৷ যা দেখে বিস্ময় চেপে রাখতে পারেনি সুপ্রিম কোর্ট৷ বুধবার প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানার প্রশ্ন, ‘বাকিদের বয়ান কোথায় গেল?’ রাজ্য সরকারকে ভর্ৎসনা করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে যেন আপনার পুলিশ তদন্ত থেকে হাত গুটিয়ে নিয়েছে৷’ এর পরই নতুন করে সব সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করার নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি৷
আরও পড়ুন: কুশিনগর বিমানবন্দরের উদ্বোধনে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের নিয়ে উত্তরপ্রদেশে শ্রীলঙ্কার মন্ত্রী
লখিমপুর নিয়ে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট৷ কিন্তু নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে রিপোর্ট জমা দেয় পুলিশ৷ এনিয়ে ক্ষোভ চেপে রাখেননি প্রধান বিচারপতি৷ তিনি বলেন, ‘গতকাল রাত অবধি অপেক্ষা করেছি৷ কিন্তু কোনও রিপোর্ট জমা পড়েনি৷’ শুনে অ্যাডভোকেট হরিশ সালভে তখন বলেন, ‘রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে৷’ এতে আরও রেগে যান প্রধান বিচারপতি৷ বলেন, ‘শুনানি শুরুর এক মিনিট আগে রিপোর্ট জমা পড়লে আমরা পড়ব কখন? শুনানির অন্তত একদিন আগে রিপোর্ট জমা পড়বে এটাই প্রত্যাশিত৷ আমরা কখনই বলেনি মুখবদ্ধ খামে রিপোর্ট জমা দিতে হবে৷ গতকাল রাত ১টা অবধি আমরা অপেক্ষা করেছিলাম৷’ এর পরই উত্তরপ্রদেশ সরকারের কাছে নতুন রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত৷
আরও পড়ুন: লখিমপুরের হিংসা নিয়ে বুধবার সুপ্রিম কোর্টে পিটিশনের শুনানি
লখিমপুর নিয়ে সিটের তদন্ত আদালতকে খুশি করতে পারেনি৷ বরং সুপ্রিম কোর্ট ভীষণ অসন্তোষ প্রকাশ করে৷ ৪৪ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র চারজন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করেছেন তদন্তকারীরা৷ বাকিদের বয়ান কোথায় প্রশ্ন করায় হরিশ সালভের জবাব ছিল, দশেরার ছুটির জন্য হয়তো বয়ান রেকর্ড করা যায়নি৷ তবে ১০জনকে গ্রেফতার করেছে সিট৷ ওই দিন একসঙ্গে দুটো অপরাধ হয়েছে৷ প্রথমত, ভিড়ের মধ্যে দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া৷ এবং দ্বিতীয়ত, গাড়ির মধ্যে থাকা দু’জনকে পিটিয়ে খুন৷ দ্বিতীয় ঘটনার ক্ষেত্রে তদন্তে সময় লাগার কথা৷ কেননা ওই ঘটনার সঙ্গে অনেকে জড়িত ছিল৷ আগামী সপ্তাহে বুধবার ফের এই মামলার শুনানি হবে৷