বাংলার নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে মামলার শুনানিতে রাজি হলেন না সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাফ জানিয়ে দিলেন, ‘আমার কাছে নয়’। মামলা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে জবাব চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।এর আগে মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করে তৃণমূল সরকার। নির্বাচনের পরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের হত্যা করার পাশাপাশি মহিলাদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে বাড়িঘর। লুট করা হয়েছে দোকান। ভাঙা হয়েছে দলের পার্টি অফিসও। এই দাবি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি কর্মীদের পরিবারগুলি। সিবিআই তদন্তের দাবিও জানায় তারা। এ বিষয়ে শীর্ষ আদালত রাজ্য সরকারের জবাব চাইলে, মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে পাল্টা দাবি করে তৃণমূল। মামলা খারিজ করার দাবিও জানায় তারা।
Read more : টিকাকরণে গাফিলতি নয় : অজয়কুমার ভাল্লা
রাজ্য সরকারের আরও দাবি, নির্বাচনের পরে কোনও হিংসার ঘটনা ঘটলেই তাকে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা বলা যায় না। একইসঙ্গে দু’জন বিজেপি কর্মী খুনে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত জুনে তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও জানায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
গণধর্ষণের শিকার দুই মহিলাও তাঁদের ঘটনার বিশেষ তদন্ত বা সিবিআই হস্তক্ষেপের জন্য আবেদন করেন। নির্যাতিতাদের মধ্যে একজন নাবালিকা ও হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষ। অভিযোগ, গত ৯ মে মুর্শিদাবাদে গণধর্ষণের শিকার হয় সে। অন্যজনের বয়স ৬০ বছর। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা। অভিযোগ, তাঁর ৬ বছরের নাতির সামনেই গণধর্ষণ করা হয় তাঁকে। তাঁদের দাবি ঘটনাগুলি রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত।
Read more: ৮ বছর পর জামিন দেবযানীর
তৃণমূল সরকারের তরফে ঘটনার জন্য নির্বাচন কমিশনকেই একপ্রকার দায়ী করা হয়। কারণ সেইসময় প্রশাসনিক দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের হাতেই ছিল। মন্ত্রিসভা দায়িত্ব নেওয়ার পরে ল অ্যান্ড অর্ডার স্বাভাবিক হয় বলেও দাবি করে রাজ্য সরকার।
শুক্রবার এই মামলা ফিরিয়ে দিলেন বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘আমি এই মামলা শুনতে চাই না। আমার কাছে নয়।’ বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এ ভাবেই নিজের মতামত স্পষ্ট করেন। মামলার শুনানিতে রাজি না হওয়ায় এই মামলা অন্য বেঞ্চে পাঠানো হবে।