নয়াদিল্লি: এডিটর্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়ার (EGI) সভাপতি এবং সংস্থার তথ্যানুসন্ধানী দলের সদস্যদের গ্রেফতারে রক্ষাকবচ দিল সুপ্রিম কোর্ট। মণিপুর পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর করেছিল। বুধবার সেই বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, তাঁদের কাউকে এই মুহূর্তে গ্রেফতার করা যাবে না। দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জেবি পর্দিওয়ালা এবং মনোজ মিশ্রকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ এদিন জানিয়েছে, মণিপুর পুলিশ আপাতত তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না।
আদালত জানিয়েছে, আগামী সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁদের কারও বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না মণিপুর পুলিশ। গত ৩ মে থেকে মণিপুরে মেইতি এবং কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। গত ১৯ এপ্রিল মণিপুর হাইকোর্টের একটি নির্দেশের পর থেকেই আগুন জ্বলে ওঠে রাজ্যে। এরপর এডিটর্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়া একটি তথ্যানুসন্ধানী দল গঠন করে। সেখানে সংবাদ মাধ্যম কীভাবে হিংসার খবর তুলে ধরছে, তা জানতে রাজ্যে যায় এই দল।
আরও পড়ুন: ডাইজিন সিরাপে স্বাদ-গন্ধ নিয়ে অভিযোগ, বাজার থেকে তুলে নিল কোম্পানী
তথ্যানুসন্ধানী দলে ছিলেন গিল্ডের সভাপতি সীমা মুস্তাফা, সদস্য ছিলেন সীমা গুহ, ভরত ভূষণ এবং সঞ্জয় কাপুর। তাঁদের বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করেছিল মণিপুর পুলিশ। রিপোর্টে গিল্ড উল্লেখ করে যে, দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিয়ে স্থানীয় সংবাদগুলি ছিল একপেশে। পুলিশের অভিযোগ দায়েরের পর গিল্ড সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। এদিন শুনানির সময় প্রবীণ আইনজীবী শ্যাম দিওয়ান বলেন, রিপোর্টে একটি ভ্রান্তি ছিল যা সংশোধন করে দেওয়া হয়েছে।
এফআইআরে গিল্ডের রিপোর্টকে মিথ্যা এবং জাতিগত হিংসা ও শত্রুতা বৃদ্ধি করতে পারে বলে উল্লেখ করে পুলিশ। এরপর শীর্ষ আদালত আবেদনকারীদের ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রক্ষাকবচ দিয়ে পরবর্তী কর্মপন্থা ঠিক করতে পরামর্শ দিয়েছে।