কলকাতা: কলকাতায় এসে পৌঁছলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল সহ বাকি ৬ জন আত্মীয়। টেট দুর্নীতি মামলায় আজ কলকাতা হাইকোর্টে তলব করা হয়েছে তাঁদের। অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সহ এই ছয়জনকেই সব রকম শংসাপত্র, উপস্থিতির খাতা এবং রেজাল্ট নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি করা হয়েছে। তাঁদের সকলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এনাদের কেউই প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নয়। তাও চাকরি পেয়েছেন। কেষ্ট মণ্ডলের কন্যা ছাড়াও আরও অনেক আত্মীয় বোলপুর সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন স্কুলে চাকরি পেয়েছেন। মেয়ে সুকন্যা ছাড়া বাকিরা হলেন, সুমিত মণ্ডল(ভাই), অর্ক দত্ত( ব্যক্তিগত সচিব), সাত্যকি মণ্ডল (ভাইপো), কস্তুরী চৌধুরী (ঘনিষ্ঠ), সুজিত বাগদি (ঘনিষ্ঠ)। হাজিরাা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা।
বৃহস্পতি সকালে নিচুপট্টির বাড়ি থেকে বেরিয়ে গাড়িতে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। ঘড়িতে তখন সকাল সাড়ে ৮টা। তাঁর ভর্তি সংক্রান্ত সমস্ত নথি নিয়ে বৃহস্পতিতে তাঁর কলকাতা হাই কোর্টে হাজিরা দেওয়ার কথা। দুপুর ৩টের মধ্যে তাঁকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।অনুব্রত কন্যার অভিযোগগুলি ওঠার পরই সুকন্যাকে আদালতে তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অনুব্রতের অনেক ঘনিষ্ঠ এবং আত্মীয় চাকরি পেয়েছেন বলেও আদালতে অভিযোগ জানান মামলাকারীর আইনজীবী। তাঁদেরও আজ সব রকম নথিপত্র নিয়ে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
বুধবার বিকেলে কলকাতা হাই কোর্টে সুকন্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে। সুকন্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ, টেট পরীক্ষা না দিয়েই সে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন। পাশাপাশি এ-ও অভিযোগ করা হয়েছে যে, সুকন্যা না কি কোনও দিন স্কুলেই যাননি। বেতন পান বাড়িতে বসেই। স্কুলের রেজিস্টার খাতা নিয়ে অনুব্রতের বাড়িতে সুকন্যার স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য আসা হত বলেও অভিযোগ করা হয়। সব মিলিয়ে আজ অনুব্রত কন্যা সুকন্যার গন্তব্য কলকাতা হাইকোর্ট হয় কি না? এখন সেটাই দেখার।