নয়াদিল্লি: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে (Rouse Avenue District Court Complex) কেষ্ট কন্যা সুকন্যা মন্ডলের (Sukanya Mondal) অন্তর্বর্তী জামিনের মামলার শুনানি শেষ। বিচারক রঘুবীর সিংয়ের এজলাসে এই মামলার শুনানি ছিল। সোমবার বিচারক এই মামলার রায়দান স্থগিত রাখেন। এই মামলার রায়দান ১২ জুলাই।
শুনানির সময়ে সুকন্যার আইনজীবী অমিত কুমার আদালতে জানান, ৬ সপ্তাহের জন্য অন্তবর্তী জামিন দেওয়া হোকতাঁর মক্কেলকে। এই মুহূর্তে সুকন্যা মন্ডলের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। তাঁর মা মারা গিয়েছেন পাশাপাশি তিনি ও তাঁর বারা দীর্ঘদিন ধরে জেলবন্দি রয়েছেন। তাই এই অবস্থায় তাদের কোনওরকম আর্থিক সঙ্গতি নেই। এরপরই বিচারক সুকন্যার আইনজীবীকে বলেন, সুকন্যা পেশায় স্কুলের শিক্ষিকা সে তো তাঁর বেতন পাচ্ছেন। জবাবে আইনজীবী জানান, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি তাঁর মক্কেল সুকন্যা মন্ডলের অ্যাকাউন্টের লেনদেন বন্ধ করে রেখেছে।
যদিও ইডির আইনজীবী আদালতে জামিনের বিরোধীতা করেন। এদিন ইডির আইনজীবীর দাবি, সুকন্যা মন্ডল কালো টাকা সাদা করার কাজ করত। গরু পাচার মামলার কোটি কোটি টাকা অনুব্রত মণ্ডল কোথায় কীভাবে বিনিয়োগ করবেন সেটা ঠিক করতেন সুকন্যা মণ্ডল। তাঁর অর্থের কোনও সমস্যা নেই।
সুকন্যা মণ্ডল এর আগেও জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন। দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে দায়ের করা লিখিত আবেদনে কেষ্ট কন্যা জানিয়েছিলেন, আত্মীয় পরিজনরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন না। তিনি বর্তমানে অর্থ কষ্টে ভুগছেন। ইডি তার যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করায় তিনি কার্যত অর্থশূন্য। এমনকি নিজের আইনজীবীদের ফি জোগাতেও তিনি অক্ষম। তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে মামলা চালানোর জন্য আইনজীবীকে নিয়োগ করার জন্যও তার হাতে পর্যাপ্ত টাকা নেই। তাই অবিলম্বে তার জামিনের ব্যবস্থা করা হোক। দিল্লি রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের বিশেষ আদালতের বিচারক রঘুবীর সিংহ সুকন্যার আর্জি শুনে, তার প্রেক্ষিতে ইডি-র কী বক্তব্য, তা জানতে চেয়েছিল। ইডি অবশ্য দাবি করেছিল, পাচারের কাল টাকা সাদা করার দায়িত্ব ছিল সুকন্যারই। কেষ্ট কন্যা প্রভাবশালী, তিনি জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে।
অন্যদিকে বেশ কয়েক দিন আগেই অনুব্রত মন্ডল বিচারকের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। এজলাস বদলের আবেদন জানিয়ে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের (Rouse Avenue) দ্বারস্থ অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Modal)। বিচারক রঘুবীর সিংয়ের এজলাস থেকে তাঁর মামলা সরানোর জন্য আবেদন জানালেন তিহার জেলে বন্দি তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত। তাঁর দাবি, বিচারক সিং নিরপেক্ষ নন। তাই তাঁর এজলাসে যথাযথ বিচার মিলবে না।