বাঁকুড়া: বিশ্বভারতীতে হস্টেলে ছাত্রের রহস্যময় মৃত্যুর পর দু’দিন কেটে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি মৃত্যুর আসল কারণ। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার থেকে ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলছে। উপাচার্য শুক্রবার রাতে পুলিসি নিরাপত্তা চেয়ে রাজ্যপালকে ফোন করেন। বিশ্বভারতীর এই আন্দোলন নিয়ে শনিবার মুখ খুললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদগ্ধ পণ্ডিত। বিশ্ববিদ্যালয় হল স্বয়ংশাসিত সংস্থা। তাদের কেউ নির্দেশ দিতে পারে না। কী করা উচিত বা অনুচিত, সেই ধারণা উপাচার্যের রয়েছে। উপাচার্যের কোনও কাজ কারও পছন্দ না হতেই পারে। কিন্তু এধরনের বিশৃঙ্খলা করা অপরাধ। দুপক্ষেরই কথা বলে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া উচিত। বাঁকুড়ায় দলের সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে এই প্রতিক্রিয়া দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।
বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে নিহত ছাত্রের বাড়ি যাচ্ছে তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। দলের নেতৃত্বে থাকছেন বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। নানুরের বিধায়ক বিধান মাঝি এবং সিউড়ি বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরীও দলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: Mobile Smuggler Arrest: লেকটাউনে গ্রেফতার মোবাইল পাচার চক্রের পাণ্ডা
বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্বভারতীর পাঠভবনের ছাত্রাবাসে অসীম দাস নামে ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর বাড়ি নানুরের বনগাঁ গ্রামে। বিশ্বভারতীর নিজস্ব হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। একদম নার্সারি থেকেই বিশ্বভারতীর পাঠভবনের ছাত্রাবাস থেকে পড়াশোনা করত অসীম। পড়াশোনাতে ভালোই আগ্রহ ছিল তাঁর। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, প্রেমে টানাপোড়েনের জেরে আত্মহত্যা করেছে অসীম।
মৃত ছাত্র অসীম দাসের মৃতদেহ নিয়ে শুক্রবার সন্ধেয় বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখান পরিবারের সদস্যরা। অসীমের দেহ নিয়ে শান্তিনিকেতন থানাতেও বিক্ষোভে সামিল হন তাঁরা। বিশ্বভারতীর সাধারণ পড়ুয়ারাও ওই বিক্ষোভে যোগ দেন। উপাচার্যর বাসভবনের সামনে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবস্থান-বিক্ষোভ করলেও মৃত পড়ুয়ার পরিবারের সঙ্গে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী দেখা করেননি বলে অভিযোগ।