কলকাতা: দিল্লির বৈঠক নিয়ে মুখ থুললেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে শুভেন্দু বলেন, বৈঠকের বিষয়বস্তু আপনাদের বলার মতো নয়। আপনারা ওই বৈঠকের কোনও ছবিও পাবেন না। তবে এটুকু বলতে পারি, বৈঠকে যা হয়েছে, তা পশ্চিমবঙ্গের ভালোর জন্যই হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পরিত্রাণের জন্য আমরা সবাই মিলে চেষ্টা চালাচ্ছি।
গত কয়েকদিনে শুভেন্দু এবং রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দিল্লি আর কলকাতার মধ্যে রীতিমতো ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেছেন। কখনও তাঁরা আরএসএস কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আবার কখনও শুভেন্দু, সুকান্ত বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও বাংলার এই দুই নেতার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেছেন।
এসব কারণেই দিল্লির বৈঠক নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানা চর্চা শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, শাহের কাছে বাংলার দুই নেতা রাজ্যে এখন কী চলছে, তার বিস্তারিত বর্ণনা দেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই রাজ্য বিজেপির নেতারা বাংলায় ৩৫৫ ধারা প্রয়োগের দাবি করে চলেছেন। ভোট মিটে যাওয়ার পর সেই দাবি আরও জোরালো হয়ে ওঠে। ভোট পর্বেই শুভেন্দুর একটি বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়ে ওঠে (যদিও কলকাতা টিভি ডিজিটাল সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি)। সেই ভিডিওতে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে, যাতে ৩৫৫ ধারা জারি করা যায়। কীভাবে তা করতে হয়, তা আমার জানা আছে।
শুভেন্দুর ওই বক্তব্য নিয়ে তুমুল জল্পনা চলে। তা নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছে। বিরোধী নেতার এই বক্তব্যকে সামনে রেখেই শাসক তৃণমূল বলছে, শুভেন্দু বাংলায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছেন। পঞ্চায়েত ভোট পর্বেই শুভেন্দু দাবি করেন, ৩৫৫ ছাড়া বাংলাকে বাঁচানো যাবে না।
এই বিতর্কের আবহে বিজেপি নেতৃত্বের জরুরি তলব পেয়ে দিল্লি ছোটেন শুভেন্দু এবং সুকান্ত। তারপরই ফিরে এসে বিরোধী নেতা এদিন যে মন্তব্য করলেন, তা নিয়ে ফের রাজনৈতিক মহলে নানা কৌতূহল দেখা দিয়েছে।