কলকাতা: কসবায় স্কুলের পাঁচতলা থেকে পড়ে মৃত্যু ছাত্রের। সোমবার বিকেলের এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে কসবা এলাকায়। অভিযোগ, প্রজেক্ট জমা দিতে না পারায় ওই ছাত্রকে মানসিক চাপ দেওয়া হচ্ছিল। দশম শ্রেণির ওই ছাত্র আত্মঘাতী হয়েছে কি না তা এখনও জানা যায় নি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। কারণ সিসিটিভিতে দেখা গিয়েছে ছেলেটি একা একা ছাদে যাাচ্ছে। যদিও মৃত ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, স্কুলের তরফে মানসিক চাপ সৃষ্টি করার হয়েছে। তার জেরেই ছাদ থেকে সে ঝাঁপ দেয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, কসবার এক বেসরকারি স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়া। সোমবার তার প্রজেক্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। প্রজেক্টের খাতা সে নিয়ে যায়নি। যার জেরে ক্লাসের দুই শিক্ষিকা তাকে বকাঝকা করে শাস্তি দেন। এরপর সে ক্লাস থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। পাঁচ তলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দেয়। সোমবার দুপুরে ওই ছাত্রকে গুরুতর আহত অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন: কুন্তলের চিঠি-মামলার তদন্ত ১৬দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ
এই ঘটনায় স্কুলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ছাত্রের বাবা বলেন, আজ প্রজেক্ট জমা দেওয়ার কথা ছিল। দিতে পারেনি বলে, ওকে বকাবকি করেন শিক্ষকরা। কান ধরে দাঁড় করিয়েও রাখা হয়েছিল সবার সামনে। ও অপমানিত বোধ করেছিল। ওই ছাত্রের পরিবারের অভিযোগ, কেন স্কুলের নিরাপত্তারক্ষীরা ছাত্রের গতিবিধির দিকে নজর রাখল না। স্কুল কর্তৃপক্ষের বয়ানেও অসঙ্গতি রয়েছে। তিনি আরও বলেন, করোনার সময় স্কুলের বেতন কমানে নিয়ে আমি অন্য অভিভাবকদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলাম। প্রধানশিক্ষিকা আমাকে বলেছিলেন, আপনাকে চিহ্নিত করে রাখা হল। ওরা আমার ছেলেকে মারধরকে মেরে ফেলেছে।
মৃত ছাত্রের বাবা আরও বলেন, পাঁচতলা থেকে পড়ে তাঁর ছেলের শরীরের কোনও হাড় ভাঙেনি। কান এবং মুখ থেকে রক্ত পড়ছিল। সেই কারণেও সন্দেহ হচ্ছে। ঘটনার পর স্কুল থেকে ফোন করা হয়েছিল। বলা হয় তাঁর ছেলে সিঁড়ি থেকে পড়ে গিয়েছে। তবে চিকিৎসার পর সুস্থ আছে। হাসপাতালে পৌঁছে তাঁরা ছেলের মৃত্যুসংবাদ পান। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়েছে মৃত ছাত্রের পরিবার।