কলকাতা: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (Governor CV Anand Bose) মানহানি সংক্রান্ত চিঠি দিলেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র। রাজ্যপালকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে ওমপ্রকাশ মিশ্রের আইনজীবীর তরফে। সম্ভবত রাজনৈতিক ইতিহাসে নজির রাজ্যপালকে মানহারির চিঠি পাঠাল। এর সাংবিধানিক প্রধানকে মানহানি সংক্রান্ত চিঠি পাঠায়নি।
প্রসঙ্গত গত পয়লা জুলাই রাজভবন থেকে একটি হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ ওম প্রকাশ মিশ্রকে ফরওয়ার্ড করা হয় যেখানে তার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন রাজ্যপাল। কিন্তু ওই ধরনের কোনও তদন্তের এক্তিয়ার রাজ্যপালের নেই বলে চিঠিতে বলা হয়েছে। এতে ওমপ্রকাশের সম্মানক্ষুন্ন হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তাই রাজ্যপাল লিখিত ক্ষমা না চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে দেওয়ানী ও ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে বলে চিঠিতে জানিয়েছেন ওমপ্রকাশ মিশ্রর আইনজীবী শ্রাবণী বন্দোপাধ্যায়।
রাজ্যপাল যে উপাচার্যদের উপর আস্থা রাখতে পারেননি, তাঁদের উপরই আস্থা রাখল নবান্ন। আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্রের (Om prakash Mishra) বিরুদ্ধে। এই নিয়ে তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। এবার ওমপ্রকাশ মিশ্রকে একই সঙ্গে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (North Bengal University) কাউন্সিলের ও সিধু কানু বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের সদস্য করা হল।
আরও পড়ুন: Jasprit Bumrah | ‘ফিরছি আমি, বিশ্বকে বলে দাও আমি ফিরছি’, শন কুম্বসের গান দিয়ে ভিডিয়ো পোস্ট বুমরার
একই ভাবে মিতা ব্যানার্জিকে বি আর আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় কাউন্সিল সদস্য করা হয়েছে। মনোজিৎ মণ্ডলকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট সদস্য করা হল। দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিধু কানু বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল সদস্য করা হল। দীপক করকে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল সদস্য হলেন। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সিল সদস্য করা হল রঞ্জন চক্রবর্তীকে । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট সদস্য হলেন আশুতোষ ঘোষ ।
এঁদের মধ্যে অনেকেই রাজ্যপাল উপাচার্য পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন। লরিয়ে দিয়ে রাতারাতি অস্থায়ী উপাচার্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ করেন। নবান্ন পরিষ্কার জানিয়ে দেয়, এই উপাচার্য দের শিক্ষা দফতর মানছে না।তাদের বেতনের দায়িত্ব রাজ্য সরকার নেবে না। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় শিক্ষা দফতর। রাজ্যের আবহেদল খারিজ করে দেয় আদালত। রাজ্যপালের নিয়োগকে বৈধ বলে গন্য করা হয়। এবং তাদের বেতন চালুর নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকারকে।