কলকাতা: রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে (State Election Commissioner Rajiv Sinha) তলব রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের (C. V. Ananda Bose Governor of West Bengal)। কিন্তু রাজ্যপালের তলবে সাড়া দিলেন না রাজীব সিনহা। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েতে প্রার্থীদের জমা দেওয়া মনোনয়নের স্ক্রটিনি চলছে, এই যুক্তি দেখিয়ে কমিশনার এদিন রাজভবনে যাচ্ছেন না৷
ভাঙড়ের পরিস্থিতি দেখে আসার পর ফের একবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে তলব করলেন রাজ্যপাল৷ শনিবার বেলা ২ টোয় নির্বাচন কমিশনারকে রাজভবনে তলব করা হয়েছে বলে খবর৷ শনিবার সকালে রাজভবনে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি অভিযোগ জানান, বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হয়। মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দেওয়া, এমন কি স্ক্রুটিনি পর্বেও অশান্তির হচ্ছে বলেও নালিশ করেন। সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে বৈঠকের পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে তলব করেন রাজ্যপাল।
পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়৷ তৃণমূল- আইএসএফ সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন তিন জন৷ ভাঙচুর হয়েছে দোকানপাট, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক গাড়ি৷ আহত হয়েছেন বহু মানুষ৷ শুধু ভাঙড় নয়, একাধিক জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বিরোধীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে৷বিরোধীদের অভিযোগ পুলিশ রাজ্য সরকারের দলদাসে পরিণত হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপর্বেই রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাস ও রক্তক্ষয় দেখে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা বিমানবন্দরে তাঁকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যপাল বলেন, সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনও কথা নয়, কাজ হবে এবার। শুক্রবার সকালে ভাঙড়ের অশান্ত এলাকা পরিদর্শনে যান রাজ্যপাল। অশান্ত সব জায়গা ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল। বিজয়গঞ্জ বাজার, যেখানে বৃহস্পতিবার গোলাগুলি চলে, সেখানে নেমে পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বললেন তিনি।কথা বলেন স্থানীয় মানুষের সঙ্গে৷ এর পরেই কড়া পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন রাজ্যপাল৷ তার পর চব্বিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই আজ নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল৷