কলকাতা: শনিবার সকাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে রাজ্য সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। সূত্রের খবর, হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে যাচ্ছে রাজ্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশন। আর এই ঘটনা জানাজানি হতেই সুর চড়াতে শুরু করেছে বিরোধী দলগুলো। শনিবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে্ বেরিয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, যদি সত্যিই রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন একসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে যায়, তাহলে প্রমাণ হয়ে যাবে নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, তৃণমূল যা চাইছে, মুখ্যমন্ত্রী সেটাই বলে দিচ্ছেন। রাজীব সিনহা সেই কথা মেনেই কাজ করছেন। এদিন বিজেপি নেতা দাবি করেন, কমিশন শান্তিপূর্ণ ভোট চাইছে না। দিলীপের মতে, মনোনয়ন পেশের সময়কালেই ৫ থেকে ৭ জন খুন হয়েছে রাজ্যে। তারপরও যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী না নামানো হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে বেরবেন না। খুনের সংখ্যা আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন: Panchayat Election | কী হতে পারে পঞ্চায়েত স্ট্র্যাটেজি, কালীঘাটে দলের মেগা বৈঠকে মমতা-অভিষেক
শুক্রবার রাত সওয়া ৮টা নাগাদ কমিশনের দফতর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিভগননম এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ পঞ্চায়েত ভোটে সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী করানোর নির্দেশ দেয়। বেঞ্চ বলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিশন কিংবা রাজ্য সরকারকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানাতে হবে। সেই নির্দেশ মতো অবশ্য শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সময় রয়েছে।
এদিকে কমিশন জানিয়েছে, গত সাত দিনের মনোনয়ন পর্বে রাজ্যে আহত হয়েছেন ১০০ জন। সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে ৪৯টি। জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে ২ হাজার ৫০০ জনকে। আটক করা হয়েছে ২ হাজার ৮০০ জনকে। তবে মনোনয়নের দিন থেকে শুরু করে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে, তার কোনও উল্লেখ কমিশনের তরফে উল্লেখ করা হয়নি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাজ্য পুলিশ যে রিপোর্ট কমিশনকে দেয় তাতেও মৃত্যুর কোনও অথ্য ছিল না।