কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে সস্ত্রীক দেশছাড়া। তিনি এখন সৌদি এয়ারলাইন্সের বিমানে সিঙ্গাপুর যাবেন। সেখান থেকে জেড্ডায়। কিন্তু, অগ্নিগর্ভ শ্রীলঙ্কায় এখনও পড়ে রয়েছেন তাঁর দুই ভাই। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে ও প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষে। দ্বিতীয়জন এর আগেই পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে যান। কিন্তু, এবার তাঁরা দুজনেই দেশ ছেড়ে না-পালানোর প্রতিশ্রুতি দিলেন সুপ্রিম কোর্টকে। নিদেনপক্ষে আগামী শুক্রবার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা দেশ ছাড়বেন না বলে হলফনামায় সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি দুর্নীতি-বিরোধী সংস্থা সুপ্রিম কোর্টের কাছে একটি আবেদন জানায়। শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ আদালত তার পরিপ্রেক্ষিতে মাহিন্দা ও বাসিলের জবাবদিহি করে। বৃহস্পতিবার ২ ভাই তাঁদের আইনজীবী মারফত জানিয়ে দেন, তাঁরা শুক্রবারের আগে দেশ ছাড়বেন না। ওই সংস্থা সুপ্রিম কোর্টে দেশের চলতি অর্থনৈতিক ভরাডুবির জন্য যাঁরা দায়বদ্ধ, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল। ওদিকে, সিঙ্গাপুর প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, ব্যক্তিগত প্রবেশাধিকারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে গোতাবায়া রাজাপক্ষেকে। সিঙ্গাপুর বিদেশ মন্ত্রকের তরফে স্পষ্ট করা হয়েছে, রাজাপক্ষেকে কোনও রকম আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন:PM Modi: প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার হেরোইন আটক! ৫৬ ইঞ্চির গুজরাত মডেল নিয়ে প্রশ্ন
রাজধানী কলম্বো এদিন সকাল থেকেই শান্ত রয়েছে। কার্ফু জারি থাকায় পার্লামেন্ট এলাকা শুনশান করছে। রাস্তায় নেমেছে সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া গাড়ি। পুলিস ব্যারিকেড করে রাখায় কাউকে কাছাকাছি আসতে দেওয়া হচ্ছে না। যদিও জনমানুষ ওই চত্বরে যাচ্ছেও না। বিভিন্ন রাস্তায় সশস্ত্র পুলিস টহলদারি চালাচ্ছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়েও মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিস। মোটের উপর এদিন সকাল থেকেই কলম্বোর জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে রয়েছে। রাস্তাঘাটে কিছু গাড়িও চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।
শ্রীলঙ্কার আন্দোলনকারীরা দখল করা সরকারি ভবনগুলি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালেই তারা জানিয়ে দেয়, দখল করে রাখা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, কার্যালয়গুলি থেকে শান্তিপূর্ণভাবে সরে যাবে। কিন্তু, পলাতক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে ও প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের ইস্তফার দাবিতে অনড় রয়েছে। যদিও এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ইস্তফা দেননি গোতাবায়া।