উত্তাল শ্রীলঙ্কা, বিভিন্ন শহরে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলছে, পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ
কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: উত্তাল শ্রীলঙ্কা। দেশকে দেউলিয়া বলে গত মঙ্গলবারই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে। শনিবার সকাল থেকে পথে লাখ লাখ মানুষ। প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের প্রাসাদ এবং অফিস জনতার দখলে। একাধিক শহরে পুলিসের সঙ্গে জনতার সংঘর্ষ চলছে। কলম্বো শহরে সরকারি জলকামান দখল করে নিয়েছে বিদ্রোহীরা। রাজাপক্ষে পালিয়ে যাওয়ায় জনতা ধরেই নিয়েছে, তাদের জয়। সেই জয়ের উল্লাসে বিভিন্ন শহরে বাজি ফাটছে, নাচানাচি চলছে। দেশ কোন পথে যাবে, তার কোনও দিশা দিতে পারছেন না কেউ। তবে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতিবিদরা বলছেন, আগামিদিনে আর্থিক পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।
এমনিতেই অর্থনীতি তলানিতে এসে ঠেকেছে। জ্বালানির তীব্র সংকট, দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, সরকারি অফিসেও তালা ঝুলছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এটাই হওয়ার ছিল। শনিবার যে বিদ্রোহের স্ফূরণ দেখা গেল. তাকে সমর্থন করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সনত জয়সূর্য, কুমার সাঙ্গাকারার মতো বিশিষ্টরা। নেটদুনিয়াতেও ঝড় উঠেছে। আওয়াজ উঠেছে, পরিবর্তন চাই।
রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, হাল ধরবে কারা। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে জরুরি বৈঠক করেন সরকারি কর্তাদের সঙ্গে। সংসদের স্পিকার রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে বৈঠকে বসেছেন পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য। রাজনৈতিক নেতারা চান, রাজাপক্ষে এই মুহূর্তে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করুন। তিনি যেখানেই থাকুন, এখনই পদত্যাগ করলে পরিস্থিতি তবু সামাল দেওয়া যাবে বলে মনে করছেন নেতারা। এসজেবি নেতা সাজিথ প্রেমদাস জানান, তাঁরা বৈঠকে যোগ দেননি। শ্রীলঙ্কা পদুজানা পেরামুনা দলের ১৬ জন সাংসদ রাজাপক্ষেকে ইস্তফা দিতে অনুরোধ করেছেন। রাজাপক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে এক বার্তায় জানান, শাসকদল যে সিদ্ধান্ত নেবে, তিনি তাই মেনে নেবেন।