শনিবার আরও এক ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ। ২০২৩ বিশ্বকাপের প্রোমো হিসেবে দেখা হচ্ছে এই ম্যাচকে। ভারত-পাক যখনই একে অপরের মুখোমুখি হয়, তখনই উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। তবে এই ম্যাচে বাঁধ সাধতে পারে বৃষ্টি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী ক্যান্ডিতে ৯৪ শতাংশ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কিন্তু ক্রিকেট অনুরাগীদের আশা বৃষ্টির মতো প্রতিবন্ধকতাকে দূর করে ম্যাচ অবশ্যই হবে। শনিবার এশিয়া কাপে ভারত-পাক দ্বৈরথের আগে একনজরে চোখ রাখা যাক এই দুই দেশের মধ্যে হয়ে যাওয়া বিশেষ কিছু ম্যাচের দিকে-
১৯৮৫ রোথমান্স কাপ ফাইনাল
দুটি দেশের মধ্যে রুদ্ধশ্বাস লো-স্কোরিং ম্যাচ হয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১২৫ রান তোলে ভারত। যখন মনে হচ্ছিল পাকিস্তান খুব সহজেই জিততে চলেছে এই ম্যাচ, ঠিক তখনই বল হাতে জ্বলে ওঠেন কপিল দেব। মাত্র ৮৭ রানে অল আউট হয়ে যায় পাকিস্তান। কপিলের বোলিং ফিগার- ১৭/৩।
১৯৮৬ অ্যাস্ট্রাল-এশিয়া কাপ ফাইনাল
শেষ বলের আগেও বোঝা যাচ্ছিল না কোন দল ম্যাচ জিততে চলেছে। চেতন শর্মার শেষ বলে ছয় মেরে অবিশ্বাস্যভাবে ম্যাচ জেতান জাভেদ মিয়াঁদাদ। ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে তোলে ২৪৫ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও মিডল অর্ডারে ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। ১১৪ বলে ১১৬ রানের অপরাজেয় ইনিংস খেলেন তিনি।
১৯৯৬ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল
চোটের কারণে এই বিশেষ ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন ওয়াসিম আক্রম। এটা নিয়ে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ভারতের স্কোর ২৮৭/৮। নভজ্যোত সিং সিধু করেন ৯৩ রান। তবে ঝোড়ো ৪৫ রানের ইনিংস খেলে লাইমলাইট কাড়েন অজয় জাডেজা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ২৪৮ রানে। আমির সোহেল-ভেঙ্কটেশ প্রসাদের স্লেজিং-পাল্টা স্লেজিং ম্যাচের উন্মাদনা আরও বাড়িয়ে দেয়।
১৯৯৮ ইন্ডিপেনডেন্স কাপ ফাইনাল
প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তান তোলে ৩১৪/৫। ১৪০ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন সইদ আনোয়ার। এছাড়া ইজাজ আহমেদও করেন শতরান(১১৭)। জবাবে ব্যাট করতে দারুন শুরু শচীন-সৌরভ জুটি। ১৫৭.৬৯ স্ট্রাইক রেটে ২৬ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন মাস্টার-ব্লাস্টার। ম্যাচ উইনিং শতরান করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (১২৪)। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন রবিন সিং(৮২)। ম্যাচের এক বল বাকি থাকতেই সকলিন মুশতাককে চার মেরে রুদ্ধশ্বাস জয় ছিনিয়ে নেন হৃষিকেশ কানিতকর।
২০০৩ বিশ্বকাপ ভারত বনাম পাকিস্তান
এই ম্যাচের দিন ভারতে অলিখিত ন্যাশনাল হলিডে ঘোষণা হয়। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৭৩ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে জিতে যায় ভারত। ৯৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন শচিন তেন্ডুলকর। শেষে রাহুল দ্রাবিড় এবং যুবরাজ সিং-এর পার্টনারশিপও যথেষ্ট প্রশংসনীয়।