কলকাতা: বিধানসভায় শাসক ও বিরোধী পক্ষকে ফের সতর্ক করলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়(Biman Bandyopadhyay)। তিনি জানিয়ে দিলেন, বিধানসভায়(Legislative Assembly) পোস্টার, ব্যানার হাতে নিয়ে স্লোগান, পিকেটিং করা যায় না। অধ্যক্ষ আচরণবিধিও(Code of conduct) পড়ে শোনান। তিনি ভবিষ্যতে দুই পক্ষকেই সংযত থাকার পরামর্শ দেন। গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিজেপির নবান্ন অভিযান(BJP Nabanna Rally) ঘিরে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, পরে তার আঁচ এসে পড়ে বিধানসভার ভিতরেও। শিক্ষা দু্নীতি নিয়ে বিজেপি(BJP) বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনে। কিন্তু বিষয়টি বিচারাধীন বলে অধ্যক্ষ সেটি নাকচ করে দেন। এর প্রতিবাদে বিজেপি সদস্যরা হাতে তৃণমূলের (TMC)সবাই চোর লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে হইহল্লা জুড়ে দেন। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ চলে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব বিধানসভায়
পাল্টা শাসকদলের বিধায়করাও আগের দিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikary) করা মন্তব্য লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য(Chandrima Bhattacharya), অখিল গিরি(Akhil Giri), অসীমা পাত্র(Ashima Patra), সরকার পক্ষের মুখ্য সচেতক(chief whip) নির্মল ঘোষ(Nirmal Ghosh) প্রমুখকে ডোন্ট টাচ মাই বডি, আই অ্যাম মেল, ইউ আর ফিমেল লেখা প্ল্যাকার্ড(placard) হাতে নিয়ে বিধানসভার ভিতরে স্লোগান এবং বিক্ষোভে নেমে পড়েন। অধ্যক্ষ বারবার দুই পক্ষকে সাবধান করলেও কেউ তাতে কর্ণপাত করেননি।
বিজেপি বিধায়করা(BJP MLAs) হইচই করতে করতে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। পরে তাঁরা লবিতে বসে বিক্ষোভ দেখান। অধ্যক্ষ বিধানসভা মুলতুবি ঘোষণা করেন। মন্ত্রী এবং সরকার পক্ষের সদস্যরাও স্লোগান দিতে দিতে বাইরে বেরিয়ে আসেন। বিধানসভার চত্বরে তাঁরাও মিছিল করেন।পরের দিন লবিতে অধ্যক্ষ বলেন, বিধানসভায় দুই পক্ষেরই সংযত আচরণ করা উচিত। সরকার পক্ষের দায় বেশি সভা শান্ত রাখার ব্যাপারে। কিন্তু ওইদিন সরকার পক্ষ স্লোগান দিয়ে, বিক্ষোভ দেখিযে ঠিক কাজ করেননি। বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখাতেই পারেন। কিন্তু তার জন্য সরকার পক্ষ কেন পাল্টা বিক্ষোভ দেখাবে।
আরও পড়ুন: হাওড়া ময়দানের বহুতলে বিধ্বংসী আগুন, ঘটনাস্থলে ৫টি ইঞ্জিন
পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়(Sovandeb Chattopadhyay) বলেন, বিরোধীদের কোথাও একটা থামা উচিত। তার জন্য সেদিন সরকার পক্ষ বিক্ষোভ দেখাতে বাধ্য হয়েছে। মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, অধ্যক্ষ কী বলেছেন, জানি না, আমরা ভুল কিছু করিনি। এই সবের পর ফের সোমবার অধ্যক্ষ দুই পক্ষকে সংযত হতে বলেন।