বসিরহাট: বসিরহাটে এসপি অফিস ঘেরাও করল বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা। অভিযোগ, বসিরহাটের সন্দেশখালিতে বিজেপির প্রার্থী আরতি সরদার সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীদের তুলে নিয়ে গিয়েছে শাসকদলের কিছু দুষ্কৃতীরা। তারপরই শনিবার বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা প্রতিবাদ জানাতে বসিরহাটের এসপি অফিস ঘেরাও করে।
প্রসঙ্গত, বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হাসনাবাদ ব্লকের বরুনহাট রামেশ্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩০ নম্বর বুথে। অভিযোগ, এদিন সন্ধ্যায় চার বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তাঁদেরকে উদ্ধার করে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতা সুরেশ মন্ডল জানিয়েছিলেন, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে নিজেরাই মারপিট করে তৃণমূলকে কালীমালিপ্ত করার চেষ্টা করছে। এরই প্রতিবাদে দাড়াও হাসনাবাদ ও হিঙ্গলগঞ্জ রোডের বরুনহাট এলাকায় বিজেপি নেতাকর্মী সমর্থকরা দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে অবরোধ করেছিলেন।
শনিবার পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) হিংসার বলি আরও এক। এবার মৃত্যু এক তৃণমূল কর্মীর। তিনি বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। উত্তর দিনাজপুরের (Uttardinajpur) চাকুলিয়ার (Chakuliya) বিদ্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কবুতর খুপি বুথের ঘটনা। সেখানে কংগ্রেস ও তৃণমূলের সংঘর্ষে ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়ে বিদায়ী প্রধান তৃণমূলের জ্যোৎস্না বেগমের স্বামী মহম্মদ শাহেনসার মৃত্যু হয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার বিরাম নেই। এদিন সকাল থেকেই জেলায় জেলায় পঞ্চায়েত ভোট ঘিরে পরিস্থিতি ছিল উত্তপ্ত। বিকেল পর্যন্ত হিংসার বলি হয়েছেন ১৫ জন। তার মধ্যে শাসকদলের সমর্থকের সংখ্যাই বেশি। শুধু মুর্শিদাবাদেই মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। এছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তী, উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ, মালদহের মানিকচকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেই তালিকায় জুড়ল উত্তর দিনাজপুরের নামও।