নয়াদিল্লি: বিমানে ওঠার আগে হ্যান্ড লাগেজে (Hand Luggage) যাই থাকুক না কেন, ল্যাপটপ (Laptop), মোবাইলের (Mobile) মতো ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস (Electronic Devices) হলে ব্যাগ থেকে সেসব বের করে ট্রে (Tray)-এর মধ্যে রাখতে হয় স্ক্যানিংয়ের জন্য পাঠানোর সময়। বিষয়টা অনেকটাই বিরক্তির উদ্রেক করে বিমানযাত্রীদের মধ্যে। বিশেষ করে চেকিংয়ের পর তা আবার ব্যাগের ভিতরে গুছিয়ে রাখতে অনেকটাই সময় নষ্ট হয়। প্লেন ধরার তাড়া থাকলে, এতে অনেকটাই মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। তবে এই সমস্যা থেকে শীঘ্রই মুক্তি পেতে চলেছেন বিমানে যাতায়াত করা যাত্রীরা। অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক (Ministry of Civil Aviation)-এর উড়ান নিরাপত্তা প্রহরী হিসেবে পরিচিত ব্যুরো অব সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি (Bureau of Civil Aviation Security – BCAS) দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে (Airports) কম্পিউটার টমোগ্রাফি টেকনোলজি (Computer Tomography Technology) বসানোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। যাতে করে যাত্রীদের হ্যান্ড লাগেজ থেকে জিনিসপত্র না বের করতে হয় স্ক্যানিংয়ের (Scanning) জন্য।
আরও পড়ুন: Smriti Irani: সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্কের ন্যূনতম বয়সসীমা কমাতে রাজি নয় কেন্দ্র
বর্তমানে ভারতের বিভিন্ন এয়ারপোর্টে যে স্ক্যানার বসানো রয়েছে, তা যাত্রীদের হ্যান্ড লাগেজের ভিতরে যে জিনিসপত্র রয়েছে, তার দ্বিমাত্রিক দৃশ্য (Two-Dimensional View) তুলে ধরে। ব্যুরো অব সিভিল অ্যাভিয়েশন সিকিউরিটি’র জয়েন্ট ডিরেক্টর জেনারেল জয়দীপ প্রসাদ (Joint Director General Jaideep Prasad) গত বুধবার জানিয়েছেন, “নিয়ন্ত্রক সংস্থা দেশের বিভিন্ন এয়ারপোর্টে কম্পিউটার টমোগ্রাফি টেকনোলজি ভিত্তিক স্ক্যানার বসাবে, যা হ্যান্ড ব্যাগেজে থাকা জিনিসপত্রের ত্রি-মাত্রিক দৃশ্য (Three-Dimensional View) তুলে ধরবে।”
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে তিনি আরও বলেছেন, “এই ধরনের স্ক্যানার থাকলে, যাত্রীদের হ্যান্ড ব্যাগেজের জিনিসপত্র আর বের করতে হবে না স্ক্যানারে চেক করার জন্য।” কম্পিউটার টমোগ্রাফি টেকনোলজি ভিত্তিক স্ক্যানার বসালে সিকিউরিটি চেকিংয়ের ক্ষেত্রে এখন যে সময় লাগে, তার চেয়ে আরও কম সময় লাগবে এবং প্রক্রিয়া আরও দ্রুততর হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা রয়েছে। সিকিউরিটি চেকিংয়ের সময় হ্যান্ড ব্যাগেজ বের করা করা এবং চেকিংয়ের ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় লাগার অভিযোগ হামেশাই করে থাকেন যাত্রীরা। রাজধানী দিল্লি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সহ দেশের অন্যান্য বিমানবন্দেরও একই চিত্র চোখে পড়ে। সেই কারণেই অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের অধীনস্থ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই প্রস্তাব দিয়েছে।