কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক : বেলা ১২টা। ফুলে মোড়া দেহটা বের হল ভারসোভার বাড়ি থেকে। রাস্তায় তখন হাজারও মানুষের জমায়েত। রাস্তার দু’ধারে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁর অনুরাগীরা। কারও চোখে জল। কেউ চোখ মুছছেন। একটি বারের জন্য প্রিয় শিল্পীকে ছোঁওয়ার আকুতি কারও মধ্যে। হাজারও জনতার ভিড় কেটে এগিয়ে চলল ফুলে ঢাকা কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের নশ্বর দেহ। গন্তব্য ভারসোভার শ্মশান।
বেশ কয়েক বছর আগেই এখানেই পঞ্চভূতে বিলীন হয়েছিলেন কে কে-র মা। মায়ের সঙ্গে দেখা করতেই যেন ভারসোভার দিকে এগিয়ে চললেন তিনি। ততক্ষণে শ্মশানের চিতা তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। কফিনবন্দি দেহটা আসতেই তৎপরতা বাড়ল নিরাপত্তারক্ষীদের। আরও সক্রিয় হয়ে উঠলেন অনুগামীরা। শেষ বারের জন্য আলবিদা জানাতে সকাল থেকেই তাঁরা ভিড় জমিয়েছিলেন মুম্বইয়ের এই শ্মশানে।
এদিন সকাল থেকেই কৃষ্ণকুমারের বাড়ি ছিল ভিআইপিদের আনাগোনার আশ্রয়স্থল। শ্রেয়া ঘোষাল, অভিজিৎ, হরিহরণ থেকে শুরু করে কেউ বাকি নেই। প্রিয় বন্ধুকে শেষ বার দেখার জন্য হাজির হয়েছিলেন অলকা ইয়াগনিক থেকে অনুপ জালোটা সবাই। শ্রদ্ধা জানানো যেন শেষ হওয়ার নয়। মুক্তির উদ্দেশে মুক্তিধামের পথে রওনা দিলেন কে কে।
আরও পড়ুন- Singer K K Death: নজরুল মঞ্চে কে কে-র শেষ কয়েক ঘণ্টা
বেলা ১টা ৪৫। মুক্তিধামের সাজানো চিতাটায় আগুন জ্বলতে শুরু করল। কখনও চোখের কোনটা চিকচিক করছে নকুল-তামারাদের। বাবাকে এখনই এভাবে পুড়তে দেখতে হবে বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি নকুলরা।
ভারসোভার শ্মশানে বেজে চলেছে একের পর এক কৃষ্ণকুমারের গান। কখনও অনুরাগীরা গাইছেন। কখনও মাইকে বাজছে।
সবাই যেন একযোগে বলছেন এ দিল মাঙ্গে মোর…