আদ্রা: ভরসন্ধ্যায় খুন হয়ে গেলেন শহর তৃণমূলের সভাপতি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুরুলিয়ার আদ্রা শহর তৃণমূল সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবেকে গুলি করে খুন করে অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চলেছে বলে জানা গিয়েছে। তিনটি গুলি লাগে ধনঞ্জয়বাবুর দেহে। একটি গুলি লাগে তাঁর এক আত্মীয়ের দেহে। ১টি গুলি লাগে তাঁর দেহরক্ষীর দেহে। তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।
ভর সন্ধ্যায় ব্যস্ত শহরে শহর তৃণমূল সভাপতিকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কে বা কারা গুলি চালিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনার পর আদ্রা শহরে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তৃণমূলের দাবি, এই খুনের পিছনে রয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি বাইরে থেকে অস্ত্র মজুত করে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। ওদিকে বিজেপির দাবি, তৃণমূলের কোন্দলের জন্যই এই খুন। এলাকা দখল নিয়ে লড়াইয়ের জেরেই খুন হয়েছেন ধনঞ্জয়বাবু।
আরও পড়ুন: Mamata-Lalu | পরিবারের মতো ঐক্যবদ্ধ লড়াই করব, পাটনায় মমতা
এদিন সন্ধ্যায় পুরুলিয়ার (Purulia) আদ্রা শহর তৃণমূল সভাপতি ধনঞ্জয় চৌবের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চলে। ঘটনাস্থলেই তিনি লুটিয়ে পড়েন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এক পুলিস কনস্টেবল। তাঁর চিকিৎসা চলছে। জনবহুল আদ্রা শহরে এমন গুলি করে খুনের ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে এ নিয়ে গত দু সপ্তাহে মোট ৯টি রাজনৈতিক খুনের ঘটনা ঘটল।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন সন্ধ্য়ায় আদ্রার পার্টি অফিসে দলের কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে মনোনয়ন পরবর্তী বিষয় এবং প্রচার নিয়ে বৈঠক করছিলেন টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ধনঞ্জয়। সেই সময় আকস্মিকভাবে কয়েকজন দুষ্কৃতী তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসের মধ্যে ঢুকে ধনঞ্জয়কে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন ধনঞ্জয়। গুলি লাগে ধনঞ্জয়ের দেহরক্ষীর গায়ে। দুজনকে গুরুতর জখম অবস্থায় রঘুনাথপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত্যু হয় ধনঞ্জয়ের।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ধনঞ্জয়ের শরীরে ৩টি বুলেটের ক্ষত পাওয়া গিয়েছে। স্বভাবতই এঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পুরুলিয়াজুড়ে। আদ্রার ওল্ড মার্কেট এলাকায় ওই তৃণমূল পার্টি অফিসে দুষ্কৃতীরা বাইকে চড়ে এসেছিল বলে খবর। তবে রাত পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালালেও কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি।