টোকিও: জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে গুলি করে হত্যা। শুক্রবার পশ্চিম জাপানের নারা শহরে বক্তৃতা দেওয়ার সময় আবের উপর হামলা চালানো হয়। রাস্তার ধারে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন শিনজো। সেই সময় আচমকা পিছন থেকে তাঁর উপর হামলা চালান এক ব্যক্তি। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শিনজো। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তিনি হৃদরোগেও আক্রান্ত হন। পরে মৃত্যু হয় তাঁর। আবের মৃত্যুতে বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতারা শোক জানিয়েছেন।
জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হবে। দেশের মানুষকে এই অবস্থায় শান্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।’ যুদ্ধ-পরবর্তী জাপানের সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের প্রধানমন্ত্রী শিনজো। ২০১২ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত টানা ৮ বছর এবং তার আগে ২০০৬ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত আবে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ২০২০-এর অগস্টে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
শিনজোর পিতামহ নোবুসুকে কিশিও ১৯৫৭ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত জাপানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। শিনজোর বাবা শিনতারো ১৯৮২ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত জাপানের বিদেশমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। শিনজোর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ৯ জুলাই, শনিবার একদিনের জাতীয় শোক পালন করা হবে।’
As a mark of our deepest respect for former Prime Minister Abe Shinzo, a one day national mourning shall be observed on 9 July 2022.
— Narendra Modi (@narendramodi) July 8, 2022
জাপানকে বিশ্বের প্রথম সারির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে শিনজো চেষ্টার খামতি ছিল না। প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়িয়ে দেশের সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করে তোলেন তিনি। ভারতের সঙ্গে শিনজোর সুসম্পর্ক ছিল। তিনিই প্রথম জাপানি প্রধানমন্ত্রী যিনি ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি (২০১৪ সালে) হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন বিভিন্ন সময়ে আবের একাধিক সিদ্ধান্তে বিতর্কও তৈরি হয়।