মুম্বই: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সম্মানিত করবেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। আর তা নিয়েই ফের জলঘোলা শুরু হয়েছে মারাঠা রাজনীতিতে। মারাঠা স্ট্রংম্যানের সহযোগী দলগুলি এবং সহযোদ্ধারাও এই কর্মসূচিতে যারপরনাই ক্ষুব্ধ। সকলে একযোগে পাওয়ারকে এই অনুষ্ঠানে না যাওয়ার অনুরোধ জানাতে চলেছেন। এখন বল সম্পূর্ণ পাওয়ারের কোর্টে। আগামী ১ অগাস্ট পুনেতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এক অনুষ্ঠানে লোকমান্য তিলক সম্মানে ভূষিত করা হবে। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত বিরোধী জোটের অন্যতম মুখ শরদ পাওয়ার। শুধু তাই নয়, অনুষ্ঠানসূচি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানিত করবেন খোদ পাওয়ারই।
এনিয়ে মহারাষ্ট্রে বর্তমান বিরোধী জোট শরিক উদ্ধব সেনার মত, এটা উচিত কাজ হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, আগামী ২৫-২৬ অগাস্ট মুম্বইতেই বসতে চলেছে মোদি বিরোধী আইএনডিআইএ-র তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। তার মাত্র কয়েকদিন আগে মোদির সঙ্গে এক মঞ্চে থাকা এবং তাঁর হাতে সম্মান তুলে দেওয়াটা দেশের কাছে ভুল বার্তাবহ হবে বলে মনে করছেন অনেকে। পুনের এস পি কলেজ মাঠের ওই অনুষ্ঠানে পাওয়ার যাতে অংশ না নেন, তা বোঝাতে রাজ্যের সমাজতন্ত্রী নেতা বাবা আদব, পাওয়ারের শিবিরে থাকা প্রবীণ এনসিপি নেতারা, কংগ্রেস, উদ্ধব সেনা, আম আদমি পার্টি এবং সিপিএম নেতারা পাওয়ারকে বোঝাতে যাবেন।
আরও পড়ুন: Manipur Delegation | মণিপুর সফর শেষে দিল্লি ফিরল ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিদল
মহারাষ্ট্রের বিরোধী জোট মহা বিকাশ আঘাড়ির শরিক কংগ্রেস অবশ্য মনে করে অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া বা না দেওয়া সেটা পাওয়ারের উপর নির্ভর করে। কিন্তু, উদ্ধব গোষ্ঠীর রায় পাওয়ারের কোনওমতেই ওই অনুষ্ঠানে যাওয়া উচিত হবে না। দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ইন্ডিয়াকে যখন যা ইচ্ছে তাই বলে গালি দিচ্ছেন, তিনি এবং তাঁর যখন এনসিপিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, তখন প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান দেখাতে যাওয়া এবং তাঁর হাতে পুরস্কার দেওয়াটা উচিত নয়।
রাউত আরও বলেন, মোদি শুধু এনসিপিকে ভেঙে দিয়েছেন তা নয়, ওদের দলের নেতাদের দুর্নীতিগ্রস্ত বলেছেন। যার জন্য দল এত ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে, কী করে তার সুপ্রিমো প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যেতে পারেন। পাওয়ার যদি তা করেন তাহলে তিনি নিজেই নিজের সম্মান ও ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন। আমি মনে করি ওই অনুষ্ঠানে পাওয়ারের না যাওয়াই উচিত।