মুম্বই: মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) এনসিপি (NCP) নেতা অজিত পাওয়ারের (Ajit Pawar) নেতৃত্বে বড় সংখ্যক বিধায়কদের বিজেপি শিবসেনা সরকারে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার (Sharad Pawar)। শনিবার তিনি বলেন, এই ঘটনার পর আমি অনেকের কাছ থেকে ফোন পাচ্ছি। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অন্যরা ফোন করেছিলেন। যেটা ঘটেছে তার জন্যে আমি উদ্বিগ্ন নই। আগামীকাল মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইবি চ্যবনের আশীর্বাদ নিয়ে জনসভা করব। সত্য শীঘ্রই বেরিয়ে আসবে। উল্লেখ্য, অজিত পাওয়ার দাবি করেছে সমগ্র এনসিপি দল তাঁর সঙ্গে রয়েছে। এদিকে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এনসিপি নেতারা কেন্দ্রীয় সরকারে (Central Government) যোগ দিতে পারে। তা হলে তা বিরোধীদের পর শক হতে পারে। কারণ সম্প্রতি পাটনায় বিরোধীদের মহাজোটের বৈঠক হয়েছে। সেখানে ১৫টি বিরোধী দল এক ছাতার তলায় এসেছিল। এর পরবর্তী বৈঠক হওয়ার কথা বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru)।
শনিবার অজিত পাওয়ার মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী (Deputy Chief Minister) হিসেবে দায়িত্ব নেন। বিজেপির দেবেন্দ্র ফডনবীশের সঙ্গে তিনি ওই দায়িত্ব সামলাবেন। অজিত পাওয়ার বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিবসেনা ও বিজেপি সরকারে যোগ দিয়েছি। বেশিরভাগ বিধায়ক ও সমগ্র দল চেয়েছিল সরকারের সঙ্গে থাকতে। পরবর্তীতে ক্যাবিনেট আরও বাড়ানো হবে। নরেন্দ্র মোদি সরকার গত ৯ বছরে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। যে কারণে আমরা সমর্থন করলাম।
আরও পড়ুন: Maharashtra NCP Crisis | মহারাষ্ট্রে তিন ইঞ্জিনের সরকার হল বলে মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের
গত সপ্তাহে এনসিপির (NCP) জাতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে উঠে আসে শারদ পাওয়ার কন্যা সুপ্রিয়া সুলের নাম। তখন থেকে অনেকে বলতে শুরু করেছিলেন গোঁসা হয়েছে শারদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ারের। তা যে বিদ্রোহে রূপান্তরিত হবে তা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কেউ। ৫৩ এনসিপি বিধায়কদের মধ্যে ৪৩ জন বিধায়কের সমর্থন রয়েছে অজিত পাওয়ারের সঙ্গে। এমনটাই তাঁদের দাবি। যার ফলে শারদ পাওয়ারের ২৪ বছরের দল কার্যত অস্তিত্বের সঙ্কটে দাঁড়াল। এর আগে একনাথ শিন্ডে ৪০ বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে শিবসেনা ছেড়েছিল। এরপর মহারাষ্ট্রে অজিত পাওয়ার এতো বড় সংখ্যক বিধায়কদের নিয়ে দল ছাড়ল।