মুম্বই: দল আড়াআড়িভাবে ভেঙে যাওয়ার পর থেকে দাবি-পাল্টা দাবির উপর ভর দিয়ে চলছে ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির দুই শিবির। দুপক্ষের কবাডি খেলায় সোমবার শরদ পাওয়ার তাঁর অতি ঘনিষ্ঠ নেতা প্রফুল প্যাটেল ও সুনীল তৎকরেকে বহিষ্কার করলেন। এদিন মোট পাঁচজনকে দলবিরোধী কাজের জন্য তাঁদের বহিষ্কার করেন পাওয়ার। অন্যদিকে, অজিত পাওয়ার মহারাষ্ট্র এনসিপির প্রধান পদ থেকে জয়ন্ত পাটিলকে সরিয়ে নয়া প্রধান হিসেবে সুনীল তৎকরেকে নিয়োগ করেন।
এদিন অজিত পাওয়ার বলেন, আমরা স্পিকারের কাছে জয়ন্ত পাটিল এবং জিতেন্দ্র অওহদের সদস্যপদ খারিজের আবেদন জানিয়েছি। অন্যদিকে, অজিতের দিকে চলে যাওয়া শরদের বহুদিনের সঙ্গী ছগন ভুজবল বলেন, প্রফুল প্যাটেল যেমন কার্যকরী সভাপতি ছিলেন, সেভাবেই কাজ করে যেতে পারবেন। নয়া গোষ্ঠীর দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য সভাপতিও এদিন দলের বিভিন্ন পদাধিকারীর নাম ঘোষণা করেন। নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার আরও বলেন, শুনেছি আমাদের ৯ জনের বিরুদ্ধে নোটিস দেওয়া হয়েছে। ওর কোনও মূল্য নেই। কারণ দল আমাদের সঙ্গেই আছে। একইসঙ্গে এনসিপির নাম ও দলের প্রতীকেরও তিনি দাবিদার বলে জানান।
আরও পড়ুন: Maharashtra Crisis | ছোটা পাওয়ারের আগমন কি শিন্ডের শিয়রে শমন? বিকল্প মুখ্যমন্ত্রী খুঁজে নিল বিজেপি
এই পরিস্থিতিতে আগামী ৫ জুলাই পাওয়ারের নেতৃত্বে বৈঠকে বসতে চলেছে এনসিপি। দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তিন নেতাকে সরিয়ে দিয়েছেন পাওয়ার। এঁরা রবিবার অজিত পাওয়ারের শপথ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন।
অন্যদিকে, দলে গোপন ভাঙন ধরানোর অন্যতম কারিগর প্রফুল প্যাটেলসহ সুনীল তৎকরের সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানাতে চলেছে শরদ গোষ্ঠী। বিধায়কদের দলত্যাগ বিরোধী আইনে শাস্তির আর্জি আগেই জমা দেওয়া হয়েছে বিধানসভার স্পিকারের কাছে। এদিকে, সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ১৩ জন রবিবার শপথের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ৩ জন আবার পুরনো শিবিরে ফিরে এসেছেন। তাঁদের বক্তব্য, তাঁরা অজিতদাদার চাল বুঝতে পারেননি।