সাতারা (মুম্বই): ভাইপো অজিত পাওয়ারের ‘বিদ্রোহে’ টলমল শরদ পাওয়ার ‘গুরুপূর্ণিমা’য় তাঁর রাজনৈতিক গুরু চ্যবনসাহেবের (ওয়াই বি চ্যবন) আশীর্বাদ নিয়ে এনসিপির কর্মী-সমর্থকদের নতুন করে লড়াইয়ের ডাক দিলেন। মহারাষ্ট্রের জনদরবারে প্রচার শুরুর এর থেকে ভালো দিন আর কী হতে পারে! বললেন, বিজেপি সবসময় এই ধরনের খেলাই খেলে। তবে সময় এলে তাদের উচিত শিক্ষা দেবে মানুষই। আগামী ৬ মাসের মধ্যে আমরা মানুষের রায় নিতে যাওয়ার সুযোগ পাব। অর্থাৎ, তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই সোমবার বিজেপির ‘মৃত্যুঘণ্টা’ বাজানোর ইঙ্গিত দিলেন ঘরভাঙা এনসিপি নেতা পাওয়ার।
সাতারায় এক জনসভার আগে রোড শো করে তাঁর সমর্থনে শক্তি প্রদর্শন করেন পাওয়ার। তার খানিকক্ষণের মধ্যেই মুম্বইয়ে বিজেপি নেতা তথা উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বাড়িতে যান অজিত পাওয়ার ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন। কনিষ্ঠ পাওয়ারের সঙ্গে ছিলেন অতীতের শরদ-অনুগামী এনসিপি নেতা ছগন ভুজবল ও প্রফুল প্যাটেল।
আরও পড়ুন: Opposition Meet | মহারাষ্ট্রে ‘মহাবিদ্রোহ’, বিরোধী জোট বৈঠক ফের পিছল
পাওয়ার সভায় দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার ডাক দিয়ে বলেন, আমাদের এখন একজোট হয়ে থাকার সময়। জাত-ধর্মের নামে মহারাষ্ট্রকে ভাঙার কাজ চলছে। ধর্মের বিতর্ক উসকে দেওয়া হচ্ছে। মহারাষ্ট্রকে শক্তিশালী না করে আমরা থামব না। তিনি আরও বলেন, উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বে আমরা কাজ করছিলাম। কিন্তু কিছু লোক সেই সরকার ফেলে দিল। শুধু মহারাষ্ট্র নয়, দিল্লি, পঞ্জাব, বাংলায় যেখানেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সরকার চলছে সেখানেই হামলা নেমে আসছে, বলেন পাওয়ার।
আমরা এই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু, দুর্ভাগ্যবশত আমাদের কয়েকজন ছেড়ে চলে গিয়েছেন। আমার এখনও বিশ্বাস রয়েছে, আপনাদের ভরসায় আমরা আবার ঐক্যবদ্ধ হতে পারব। মহারাষ্ট্র আবার প্রগতির পথে এগিয়ে যাবে।
এদিকে, এনসিপির তরফে বিধানসভার স্পিকারের কাছে গতকাল রাতেই দলত্যাগ বিরোধী আইনে এক আবেদন করা হয়েছিল। স্পিকার রাহুল নারওয়েকর এদিন জানান, জয়ন্ত পাটিলের আবেদন আমি পেয়েছি। মনোযোগ দিয়ে তাঁর আর্জি পড়েছি। উল্লেখ করা পয়েন্টগুলোর উপর আমি গভীরভাবে বিবেচনা করব এবং যথাযথ পদক্ষেপ করব। অন্যদিকে, কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, এনসিপিতে ভাঙনের পর তারাই বিধানসভার বিরোধী দলের মর্যাদার অধিকারী। পাওয়ারের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, বিরোধী দলের অস্তিত্ব নেই, তা তারা হতে দেবে না।