মেরিল্যান্ড: ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস (Corona Virus)। চীন (China), জাপান (Japan), ফ্রান্স (France) সহ বিশ্বের একাধিক দেশে হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। তা দেখে উদ্বিগ্ন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই মিউটেশনের (Mutation) ফলে জন্ম নিতে পারে কোভিডের আরও মারাত্মক ভ্যারিয়্যান্ট (Variant)। এই ভ্যারিয়্যান্ট হতে পারে পুরনো স্ট্রেনগুলির (Strain) কম্বিনেশন, অথবা সম্পূর্ণ নতুন স্ট্রেনে গঠিত। আমেরিকার মেরিল্যান্ডের (Maryland) জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ স্টুয়ার্ট ক্যাম্পবেল রে বলছেন, চীনের জনসংখ্যা প্রচুর সেই সঙ্গে সেখানে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও সীমিত। তার ফলে আমরা এক নতুন ভ্যারিয়্যান্টের বিস্ফোরণ দেখতে পারি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, একে তো চীনের (China) জনসংখ্যা প্রচুর, সেই সঙ্গে সে দেশে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity) কম। ঠিক এই কারণেই জীবাণুর মিউটেট করার জন্য চীন হল আদর্শ জায়গা। রে বলছেন, যখনই সংক্রমণের (Infection) জোয়ার এসেছে, তার পিছু পিছুই আমরা নতুন ভ্যারিয়্যান্টের জন্ম হতে দেখেছি। এক্ষেত্রে মনে করিয়ে দেওয়া যায়, তিন বছর আগে যখন চীন থেকে সারা বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ছড়ায়, ঠিক তার পরেই ডেল্টা (Delta Variant) নামে এক নতুন ভ্যারিয়্যান্টের জন্ম হয়। একই ভাবে সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের পরেই জন্ম হয়েছে ওমিক্রন (Omicron) সহ অন্যান্য ভ্যারিয়্যান্টের।
আরও পড়ুন: Weather Update: ‘গরমকাল’ চলছে কলকাতায়! রেকর্ড পারদ উত্থানে মঙ্গলবার উষ্ণতম ডিসেম্বর
ওহিও বিশ্ববিদ্যালয়ের (Ohio University) গবেষক ডঃ শান-লু লিউ বলছেন, বিএফ.৭ (BF.7) সহ একাধিক ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্ট রয়েছে চীনে। লিউয়ের মতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিতে অতি দক্ষ এই বিএফ.৭ এবং এ জন্যই এই মুহূর্তে চীনে এমন বিপুল হারে সংক্রমণ হচ্ছে। এদিকে রে বলছেন, গত ছয় থেকে ১২ মাসে করোনার তীব্রতা কমে যাওয়ার কারণ ছিল ইমিউনিটি, যা হয় টিকাকরণ (Vaccination) নয়তো সংক্রমিত হওয়ার কারণে এসেছিল। এমন নয় যে, ভাইরাসটি বদলে গিয়েছে বা তার তীব্রতা কমে গিয়েছে।