আগরতলা: সামনেই পুরভোট৷ আগামিকাল ভোটপ্রচারে ত্রিপুরায় যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কিন্তু তাঁর ত্রিপুরা সফরের আগেই রবিবার উতপ্ত হয়ে উঠল আগরতলা৷ বিজেপির বিরুদ্ধে থানায় ডেকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন কুণাল ঘোষ৷ ক্ষোভ উগড়ে বলেন, ‘জঙ্গলের রাজত্ব চলছে৷ পুলিশের অনুরোধে এসেছি৷ আইন মেনে চলা নাগরিক আমরা৷ থানার ভেতর ইট-পাথর ছুড়ে মারা হচ্ছে৷ ধারাল অস্ত্র নিয়ে এসেছে৷ আর পুলিশ আঙুল চুষছে৷’ যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূল এখানে এসে গণতন্ত্র নষ্ট করতে চাইছে৷
আরও পড়ুন: কৃষকরা খালিস্তানি! ইন্দিরা পিষে মেরেছিলেন জঙ্গিদের, লিখলেন কঙ্গনা
পুরভোটের প্রচারে আগরতলার অ্যাপেলো টাওয়ার্স হোটেলে রয়েছেন কুণাল ঘোষ, সাংসদ সুস্মিতা দেব, অর্পিতা ঘোষ, যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষ৷ রবিবার সকালে সেই হোটেল ঘিরে ফেলে পুলিশ বাহিনী৷ হোটেলে এসে পুলিশ সায়নী ঘোষের খোঁজ করতে থাকে৷ তৃণমূল নেতৃত্বকে পুলিশ জানায়, সায়নীর বিরুদ্ধে ‘হিট অ্যান্ড রান’-এর অভিযোগ রয়েছে৷ এর পরই যুব তৃণমূল নেত্রীকে মহিলা থানায় নিয়ে যায় পুলিশ৷
আগততলায় থানার বাইরের দৃশ্য৷ রবিবার৷ নিজস্ব চিত্র৷
আরও পড়ুন: স্বামীর কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চান, সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে বললেন শহীদ জওয়ানের স্ত্রী
কিন্তু থানায় গিয়ে বিজেপির গুণ্ডাবাহিনীর আক্রমণের মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ করে তৃণমূল৷ অভিযোগ, বিজেপি কর্মীরা হেলমেট পরে লাঠি, লোহার রড নিয়ে থানার ভেতর ঢুকে তৃণমূল নেতাদের দিকে মারতে ছুটে যান৷ ক্ষুব্ধ কুণাল ঘোষ বিজেপির বিরুদ্ধে থানায় ডেকে খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনেন৷ এমনকী সুবল ভৌমিকের গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে জানান তিনি৷ এর পরই কুণালবাবু থানার বাইরে বিক্ষোভ দেখান৷ সেই সময় ভেতরে বসে সায়নী ঘোষ, অর্পিতা ঘোষ, সুস্মিতা দেব এবং সুদীপ রাহা-সহ তৃণমূলের কর্মীরা৷ তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা বিজেপি জানিয়েছে, এখানে এসে তৃণমূল উত্তেজনা ছড়াচ্ছে৷ বিজেপি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে৷ তৃণমূল এসে গণতন্ত্র ধ্বংস করতে চাইছে৷