নয়াদিল্লি: ‘সত্যমেব জয়তে’— রাহুল গান্ধীর সুপ্রিম-স্বস্তি মেলায় প্রথম প্রতিক্রিয়া কংগ্রেসের। মোদি পদবি অবমাননা মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বড় স্বস্তি পেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বিচারপতি আরএস গাভাই, পিএস নরসিমা এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারকে নিয়ে গঠিত সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ শুক্রবার রাহুলের দু’বছরের জেলের সাজার উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। ফলে এ সংক্রান্ত সুরাত আদালতের রায় আপাতত কার্যকর হচ্ছে না। সেই সঙ্গে কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ পদ থেকে যে রাহুলকে বরখাস্ত করা হয়েছিল, তাও ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হল।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের এই স্থগিতাদেশকে স্বাগত জানিয়ে কংগ্রেস বলেছে, ঘৃণার প্রতিবাদে ভালোবাসার জয়। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে এক নির্বাচনী জনসভায় রাহুল গান্ধী মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তা নিয়ে সুরাতের নিম্ন আদালতে মানহানির মামলা করেন বিজেপি নেতা পূর্ণেশ মোদি। সুরাতের নিম্ন আদালত রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে ২ বছরের কারাদণ্ডের রায় দেয়। সেই রায়ের স্থগিতাদেশ জারি করতে গিয়ে আদালত প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিরও সমালোচনা করেছে। বেঞ্চ বলেছে, কোনও সন্দেহ নেই যে, এই ভঙ্গিমায় কথা বলা সুরুচির পরিচয় বহন করে না। জনতার হয়ে কাজ করা কোনও ব্যক্তির ভাষণ দেওয়ার সময় সতর্ক থাকাটা অত্যন্ত জরুরি।
আরও পড়ুন: মহাকাশের খুঁটিনাটি দেখতে অ্যাপ নিয়ে আসছে নাসা
বেঞ্চ আরও বলেছে, এই মামলায় বিচারক কেন সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান দিলেন, তার কোনও কারণ দর্শাননি। সুতরাং, এই আবেদনের চূড়ান্ত ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত দোষী সাব্যস্তের রায় স্থগিত রাখাই বাঞ্ছনীয় বলে মনে করে সর্বোচ্চ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরেই কংগ্রেসের লোকসভা দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, এটা একটা খুশির দিন। রাহুলের সাংসদ ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে আজই তিনি লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে কথা বলবেন এবং লিখিত জানাবেন বলে বলেন অধীর।