দার্জিলিং: ছেলের মৃত্যুসংবাদ জানতেন মা। তবু, প্রিয় সন্তানকে একবার শেষবারের মতো চোখের দেখা দেখার জন্য বুক বেঁধে বসেছিলেন। শহীদের মা হয়ে একটি বার বুকে জড়িয়ে ধরার ইচ্ছাও হয়ত ছিল। কিন্তু কপ্টার দুর্ঘটনায় ঝলসে যাওয়া কফিনবন্দি ছেলের মুখটা অন্তিম লগ্নে দেখতে পেলেন না বৃদ্ধা মা। উর্দি পরা ছেলের (Darjeeling satpal rai) ছবির সামনেই তাই বাঁধ মানল না চোখের জল। ছেলের ছবিতে ফুল অর্পণ করতে গিয়ে বার বার ঝাপসা হয়ে আসছিল ছোট থেকে বড় করে তোলা সন্তানের মুখটি। সিডিএস (CDS) বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত সৎপাল রাইয়ের শেষকৃত্য সোমবার বেলা বারোটা নাগাদ তাকদায় সম্পন্ন হবে।
সৎপাল রাইয়ের দেহ যখন তাঁর নিজের গ্রাম তাকদায় পৌঁছল, তখন গোটা পাহাড়ে নেমে এসেছে গভীর অন্ধকার। সৎপালকে শেষ দেখার জন্য ঘণ্টার পর ঘন্টা ধরে পাহাড়বাসী তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় করে অপেক্ষায় ছিল। সেনাবাহিনীর জওয়ানরা দেহ নামানোর সঙ্গে সঙ্গে সৎপালের মায়ের মতোই অপেক্ষারত জনতা কেউ আর চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি।
সৎপালের ছবির সামনে তাঁর স্ত্রী
শোকার্ত শহিদ সৎপালের মা
আরও পড়ুন- জেনারেল রাওয়াতের চপার ভাঙার ভিডিয়ো করা মোবাইল গেল ফরেন্সিকে
তাকদার ছোট্ট গ্রামে বড় হয়ে ওঠা সৎপাল রাইয়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্থানীয়রা। এই গ্রামে শুধু সৎপাল নয়, অনেকেই সেনাবাহিনীতে কাজ করেন। কয়েকজন দেশের জন্য শহীদ হয়েছেন। কিন্তু হেলিকপ্টারে ঝলসে মর্মান্তিক মৃত্যু তাঁরা কেউ ভুলতে পারবেন না। তবু, এক যোদ্ধাকে শেষ প্রণাম জানাতে অন্ত্যেষ্টিস্থলে হাজির হবেন পাহাড়ের অগণিত জনতা।