কলকাতা: সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের খবর পেয়ে উত্তরবঙ্গের জরুরি কর্মসূচি অসমাপ্ত রেখেই কলকাতায় ফিরছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, ‘কোচবিহারে আমার সভা রয়েছে। কিন্তু সন্ধ্যাদির মৃত্যু খবর পেয়ে মন খারাপ হয়ে গেল। তাই বুধবার দ্রুত কাজ সেরে আমি কলকাতায় ফিরে আসছি।’ কোচবিহারে চিলা রায়ের জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে কলকাতায় ফিরবেন মমতা। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রীর ফিরতে সন্ধে হয়ে যেতে পারে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আজ, মঙ্গলবার রাতে প্রয়াত সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের দেহ পিস ওয়ার্ল্ডে রাখা হবে। বেলা ১২টা নাগাদ তাঁর দেহ আনা হবে রবীন্দ্র সদনে। বিকেল ৫টা অবধি সেখানেই থাকবে দেহ। তাঁর গুনমুগ্ধরা শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। তার পর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। রাজ্য সরকারের তরফে প্রয়াত শিল্পীকে সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হবে। শেষকৃত্যে তিনি নিজে হাজির থাকবেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী।
২০১১ সালে বঙ্গবিভূষণ পান সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। সে-বছরই ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটান মমতা। ক্ষমতায় এসেই বঙ্গবিভূষণ সম্মান চালু করেন তিনি। গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মমতার ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়। শিল্পী গত মাসে অসুস্থ হওয়ার পরই হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান মমতা। রাজ্য সরকারের তরফে তাঁর চিকিসার সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছিল। করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থও হন শিল্পী। এদিন সন্ধ্যার প্রয়াণে রীতিমতো ভেঙে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী।
শিল্পীর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান মমতা। তাঁর কথায়, খুব খারাপ লাগছে। ডাক্তাররা চেষ্টা করেছিলেন। সুস্থ হয়েছিলেন। হাঁটাচলা করছিলেন। খাচ্ছিলেন। অল্প অল্প কথাও বলছিলেন। হঠাৎ যেন সব ওলট পালট হয়ে গেল। এভাবে উনি চলে যাবেন ভাবতে পারিনি। মমতা জানিয়েছেন, বুধবার গানস্যালুট দিয়ে শিল্পীকে শেষ বিদায় জানানো হবে।